মলয় দে নদীয়া:- স্থানীয় ভাবে জান যায়, রাজা ভরমল্ল তারকেশ্বরের কাছে জঙ্গলে একটি শিবলিঙ্গের স্বপ্ন দেখেন। এরপর তিনি এই স্বয়ম্ভু লিঙ্গটি খুঁজে বের করেন। ১৭২৯ সালে “বাবা তারকনাথ” নামে পরিচিত এই লিঙ্গের উপর আধুনিক মন্দিরটি গড়ে ওঠে।এখানে তারকনাথ নামে পূজিত শিব কিংবদন্তী অনুসারে বহু মানুষের দুরারোগ্য ব্যধির নিরাময় ঘটান।
তারকেশ্বরের দুধপুকুরে স্নান করলে নাকি সকল মনস্কামনা পূর্ণ হয় বলে মানুষের বিশ্বাস। তারকনাথের মন্দির হিন্দুদের এক প্রসিদ্ধ তীর্থক্ষেত্র। শ্রাবনের প্রত্যেক সোমবারে প্রচুর পরিমাণে ভিড় হলেও মূলত চৈত্র সংক্রান্তির পর থেকে বিভিন্ন মাসের সোমবার ভক্তবৃন্দ আনাগোনা দেখা যায়। আগামীকাল পয়লা জ্যৈষ্ঠ সোমবার অন্যদিকে বুদ্ধ পূর্ণিমা এই শুভ দিনটি হাতছাড়া করতে চাননা শৈব উপাসকরা তাই আজ নদীয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রওনা দিচ্ছেন শিবলিঙ্গে জল ঢালা উপলক্ষে। তারা জানাচ্ছেন শেওড়াফুলি পর্যন্ত নিজেদের ভাড়া করা ম্যাটাডোর লরিতে রাত্রে পৌঁছানোর পর সেখানে নিরামিষ আহার করে গঙ্গা স্নান করে, বাঁকে কলসিতে করে জল নিয়ে সারারাত হেঁটে ডাকাত কালী- মেলোসিটি- লোকনাথ এভাবেই ভোর ছটায় পৌঁছাবেন মূল তারকেশ্বর শিব মন্দির। সেখানে শিবলিঙ্গে জল ঢেলে পুজো করে মেলায় কেনাকাটা করে ভাড়া করা বাসায় আবারো ফিরবেন বাড়িতে।
বিভিন্ন মানত নিয়ে অথবা শুধুমাত্র পুজো দিতে এভাবেই দ্বারা প্রতিবছর গিয়ে অভ্যস্ত এমনটাই জানালেন আমাদের। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বা বৃদ্ধ শিশুরা হাটতে না পারলে ভাড়া করা গাড়িতেই পৌঁছান পুজো দিতে।