মলয় দে নদীয়া:- রাজ্য সরকারের ১১ বছর পূর্তি উপলক্ষে সরকারের বিভিন্ন রকম যে উন্নয়নমূলক প্রকল্প গুলি রয়েছে, সেই প্রকল্পগুলির প্রচারের লক্ষ্যে এবার বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের যুক্ত করেছেন নদীয়ার শান্তিপুর পৌরসভা।
স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্য সাথী, সবুজ সাথী কৃষক বন্ধুর মত রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রচারের লক্ষ্যে ছবি আঁকবে। করা হবে কুইজ কনটেস্ট, নাটক সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান। আগামী তেরই মে থেকে কুড়ি মে পর্যন্ত শান্তিপুর শহরের পাঁচটি জায়গায় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে হবে এই সব অনুষ্ঠান। তার মধ্যে ১৩ মে হঠাৎ আজ শান্তিপুর রবীন্দ্র বিদ্যাপীঠে কর্মশালার সূচনা হলো ।
উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ ভাইস চেয়ারম্যান কৌশিক প্রামানিক, চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের সদস্য বিকাশ চন্দ্র সাহা ,শুভজিৎ দে সহ কাউন্সিলর পলি গোস্বামী, অরুণ বসাক, মহানন্দ বিশ্বাস, প্রশান্ত বিশ্বাস, প্রভাত বিশ্বাস এবং অন্যান্য পৌর প্রতিনিধিগণ এবং বিশিষ্ট অংকন শিল্পীগণ। বিদ্যালয় বন্ধ থাকার মাঝে পৌরসভার আমন্ত্রণে খুশি খুদে শিল্পীরা। যদিও অভিভাবকরা অনেকেই বিদ্যালয় দীর্ঘ ছুটির জন্য আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন।
আজকের ছাত্র-ছাত্রীদের আঁকা ছবি নিয়ে ২০ মে শান্তিপুর কলা তীর্থে হবে প্রদর্শনী। শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ জানিয়েছেন,’ রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক সমস্ত কর্মসূচিকে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমে অংকন, কুইজ কনটেস্ট এবং নাটক সহ কয়েকটি অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরা হবে। এরপর করা হবে সেই সব ছবির প্রদর্শনী। প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর হাতেই শান্তিপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। স্কুল গুলি কে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে
ভাইস চেয়ারম্যান কৌশিক প্রামানিক জানান, সরকার সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যায়নও প্রয়োজন। অসাধারণ অংকন চিত্র এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তা তুলে ধরবে। তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখে বোঝা যাচ্ছে মমতাময়ী সরকারের থেকে তারাও উপকৃত। কেউ আঁকলো বিশ্ব বাংলা লোগো কেউ বা সবুজ সাথী সাইকেল নিয়ে স্কুলে যাওয়ার ছবি, কন্যাশ্রীর টাকা পেয়ে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন ফুটে উঠল ক্যানভাসে। লক্ষীর ভান্ডার এর সহযোগীতা পেয়ে মা কাকিমাদের খুশি ফুটিয়ে তুললো রং পেন্সিলে।