দীপ রায়, নদীয়া : কর্মসংস্থান বাড়াতে উদ্যোগী হলো নদীয়া জেলা প্রোগ্রেসিভ ভেটেরিনারী ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন এর সদস্যবৃন্দ।
নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের কৃষ্ণগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতিতে শুক্রবার প্রাণী পালকদের নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন ব্লকের প্রায় দেড়শো জন প্রাণীপালক।
জানা যায় , অনেকেই উদ্যোগী হয়ে খামার করেন কিন্তু কিছুদিন পরেই হয়ত খামার বন্ধ করে দেন তার প্রকৃত কারণ কি ? প্রাণীদের বিভিন্ন রোগ এবং সেই রোগ কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়, প্রাণীদের খাবার, প্রাণীদের টিকাকরণসহ বিষয়ে প্রাণী চিকিৎসকরা বিস্তারিত আলোচনা করেন।
প্রাণী পালকরা সরকারী সহযোগীতা কিভাবে পেতে পারেন সেই বিষয়েও বিশদে আলোচনা করেন ভেটেরিনারি চিকিৎসকগণ।
বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রাম বিষ্ণুপুরে সরাসরি খামার ও ঘাসের ক্ষেত পরিদর্শন করেন ভেটেরিনারি চিকিৎসকগণ। খামারের ভালো ও খারাপ দিক নিয়ে প্রাণী পালকদের সাথে মতবিনিময় করা হয়।কর্মশালায় খামারিরা তাদের কাজের মাধ্যমে পাওয়া বিভিন্ন সময়ের অভিজ্ঞতা সবার সামনে তুলে ধরেন।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী মাটিয়ারি এলাকার একজন মহিলা বানী বিশ্বাস জানান ” তিন বছর ধরে ছাগল পালন করছি। প্রথমে ৮টি ছাগল নিয়ে পালন শুরু করি। বর্তমানে ডাক্তার বাবুদের সহযোগিতার মাধ্যমে ৫০ টির বেশী ছাগল হয়ে গেছে। ছাগল পালন করে, ছাগল বিক্রি করেই বাড়ির ছাদ দিয়েছি”।
এই প্রসঙ্গে নদীয়া জেলা ভেটেরিনারী ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা: দেবাশীষ সাহা জানান , সরকারি কাজের পাশাপাশি গ্রামীন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে গ্রামভিত্তিক ভাবে কাজ করে চলেছে আমাদের এই সংগঠন। সংগঠনের সদস্যবৃন্দের উদ্যোগে ৬০টির বেশী খামার আমরা করাতে পেরেছি। অনেক মহিলার কর্মসংস্থান হয়েছে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করাই আমাদের মূল লক্ষ্য ।
উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ডা: চয়ন ভট্টাচার্য তিনি জানান , প্রাণীপালকদের নিয়ে একটি কর্মশালা করা হচ্ছে। যেখানে প্রাণীপালকরা তাদের সমস্যার কথা আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। বিশেষজ্ঞরা সেই বিষয়ে সুপরামর্শ দিচ্ছেন। প্রাণীপালকদের উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে। আগামী দিনে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এই রকম কর্মসূচি গ্রহণ করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। অনেক প্রাণীপালক মহিলা স্বনির্ভর হচ্ছেন”।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক জনাব কামাল উদ্দিন আহমেদ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অশোক হালদার।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডা: শঙ্কর বিশ্বাস , বি.এল. ডি.ও , ডা: আশিষ চৌধুরী , ভেটেরিনারী অফিসার , এবিএএইচসি,বানপুর এবং জেলার বিভিন্ন ব্লকের প্রাণীপালক চিকিৎসকগণ।