শান্তিপুর সাইন্স ক্লাব এর পরিচালনায় ৩৮ তম বিজ্ঞান প্রদর্শনী ও মেলার শুভ সূচনা

Social

মলয় দে নদীয়া:-১৯৮২ সাল থেকে শান্তিপুরে হয়ে আসা বিজ্ঞান মেলার ২০১৯ এও আয়োজন করলো শান্তিপুর সায়েন্স ক্লাব। উপস্থিত ছিলেন ড.শুভাশিস মুখোপাধ্যায় এবং ড. অশোক মুখোপাধ্যায় (দুজনেই অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়), শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. কিংশুক চক্রবর্তী।

ভীষণ প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করেও শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতি প্রমাণ করে বিগত দিনের থেকে ক্রমাগত বিজ্ঞানচেতনা বিজ্ঞানমনস্কতা ক্রমবর্ধমান। তিন দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জৈব সার, দেশি ধান, পর্বত আরোহন এর বিষয়, হাতে কলমে খাদ্যে ভেজাল নির্ণয় প্রদর্শনী, গৃহস্থলীর বিজ্ঞান বিষয়ক প্রদর্শনী, সাপ নিয়ে সাপ কথা, অলৌকিক নয় লৌকিক প্রদর্শনী, বিজ্ঞান এর পত্র-পত্রিকা বই বিক্রি, প্রকৃতি বিলাস এর সামগ্রী বিপণন সহ নানা বিষয় প্রদর্শন। জলে জলাশয় সংরক্ষণ, দাও ফিরে সে অরণ্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও তার ফল, বাজি অতিরিক্ত শব্দের প্রভাব, পার্থেনিয়াম নিধন,সহ নানা বিষয়ে অংকন, আবৃত্তি, বিতর্ক, নাটক, কুইজ প্রতিযোগিতা।

উদ্যোক্তাদের স্মরণে থাকছে শান্তিপুরের প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ড: রাম চন্দ্র ভট্টাচার্য, . শিবপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় ,ইমদাদুল ইসলাম প্রসঙ্গে আলোচনা বাড়তি আগ্রহ যুগিয়েছে এবছর মেলায়। ধর্মীয়, রাজনৈতিক, কখনো বা সামাজিক বিভিন্ন ভাবে ব্যবহৃত অলৌকিক বিষয়, যা বিজ্ঞানকে আঁধারে রেখে ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার অপচেষ্টা কে রুখে দেয়ার আহ্বান জানান শান্তিপুর সায়েন্স ক্লাব এর কর্মকর্তারা। আগত ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকগণকে জানান, ছোটবেলা থেকেই আমরা যেটা শুনে অভ্যস্ত, সেই প্রচলিত ধারার থেকে নিজেদের বের করতে পারি না এখনো, সত্যিই আজ আমাদের এক পা চলতে পারিনা বিজ্ঞানের সহায়তা ছাড়া, অথচ সেই বিজ্ঞানকে অকৃতজ্ঞের মত অবহেলায়, প্রচার বিমুখ করে রেখেছি আমরা। আগামী প্রজন্ম যাতে বিজ্ঞানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে আন্তরিকভাবে, সেই জন্যই অভিভাবকদের এ ধরনের মেলায় নিয়ে যাওয়া উচিত সন্তানদের।

Leave a Reply