মলয় দে নদীয়া:- কথায় আছে ডান হাত দান করলে বাঁ হাত জানেনা। কিন্তু বর্তমানে অর্থনৈতিক দুরবস্থার শিকার হওয়া ব্যক্তিকে সামান্য কিছু সহযোগিতা করলেও ক্যামেরাবন্দি হয়ে আগে, পরবর্তীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে কৃতিত্বের নজির স্থাপিত হয়। এর পেছনে অবশ্য অন্যদের অনুপ্রাণিত করার কারণ দেখিয়ে থাকেন অনেকেই।নদীয়া জেলার শান্তিপুরের গোপালপুর মসজিদ কমিটি অবশ্য এমনটা মনে করেন না। তাই চলতি রমজান মাসের রোজা থাকার পর ইফতারের ছবি তোলা নিষেধ। খবরের প্রয়োজনীয়তার কারণে অনুরোধ করায় ছাড় মিলেছিলো কিছুটা। আর সেই কারণেই আপনাদের দেখানো সম্ভব হয়েছে।
স্থানীয় গোপালপুর উত্তর পাড়ার বাসিন্দা আতাবুল মন্ডল পেশায় টোটোচালক। স্ত্রী পরিবার ছেড়ে কর্মসূচি রাজ্যের বাইরে গিয়ে আটকে ছিলেন। কর্মহীন অবস্থায় সে সময়, আল্লাহর করুণ কৃপায় মসজিদ কমিটি এবং পাড়ার অনেকেই এগিয়ে এসেছিলো সে দুঃসময় । তখনই অনুভব করেছিলেন সবার উপর মানুষ সত্য। তাই তাদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারলেই, আল্লাহর প্রতি আনুগত্য দেখানো যায়। বাড়ি ফিরে একটি টোটো কিনে ভাড়ার অর্থ থেকে প্রতিদিন ৫ টাকা করে জমাতেন তিনি। আর সেই তিল তিল করে জমানো অর্থে গোপালপুর মসজিদ এবছর প্রায় আড়াইশো জন রোজাদারকে ইফতার করলেন তিনি।
মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল হাকিম এ প্রসঙ্গে বলেন অনেকেরই অর্থ আছে কিন্তু বড় মন থাকে না। তবে আতাবুল ভাইয়ের সদিচ্ছা কে সালাম জানাই। যে মানুষের জন্য ভাবে তার কথা আল্লাহ ডাবে। বৃত্তবান অনেকেই মাঝেমধ্যে ইফতার করান, তবে আতাবুলের মতো দরিদ্র মানুষ এই প্রথম।