দেবু সিংহ,মালদা: ভারত সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী মানুষের আধার কার্ড এর পাশাপাশি পশুদের চিহ্নিত করানোর জন্য কার্ড ও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মালদা জেলা প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর কর্তারা ইতিমধ্যে গরু ছাগলের ,কানে ১২ অক্ষরের একটি ট্যাগ লাগিয়ে দিচ্ছেন।
১২ অক্ষর বিশিষ্ট এই ট্রাগ নাম্বারটি দপ্তরের কম্পিউটারে নথিপত্র করা হচ্ছে। যে গরু, ছাগলের কানে এই নাম্বারটি লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে সে সমস্ত গরু-ছাগলের তাদের মালিকের নাম ফোন নম্বর ঠিকানা সব ই নথি পত্র করা হচ্ছে। কোন গরু চুরি হয়ে গেলে বা হারিয়ে গেলে তাহলে সেই ট্যাগ নাম্বার দেখে সেই গরুর সচিত্র পরিচয় পত্র পাওয়া যাবে। পাশাপাশি সেই গরুর প্রকৃত মালিক এর হাতে গরুটিকে তুলে দেওয়া যেতে পারে।
মালদা জেলা প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের উপ অধিকর্তা উৎপল কুমার কর্মকার জানান ভারত সরকারের উদ্যোগে মানুষের যেমন আধার কার্ড রয়েছে তেমনি পশুদেরও পশু আধার কাঠ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। ১২ অক্ষরের সংখ্যা থাকে যেটা গরু, ছাগলের কানে ট্যাগ পরিয়ে দেওয়া হয় । গরুর ট্যাগ আমরা বিগত চার বছর ধরে এটা করে আসছি ।পাশাপাশি আমাদের দপ্তরের পটালে গরুর সমস্ত ডিটেইলস তোলা হয়। গরুকে ট্যাগ পড়াতে হলে সুবিধা হয় গরুটি যদি হারিয়ে বা কিংবা চুরি হয়ে যায় তাহলে সেই ট্যাগ নম্বর খুঁজে প্রকৃত পুরুষ ঠিকানা ও গরুর মালিকের পরিচয় পাওয়া যায়। পাশাপাশি গরুর কানের ট্যাগ পরা থাকলে সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে ।আমাদের দপ্তর থেকে প্রায় ৭০০০০ বাছুর ও গরু প্রায় দেড় লক্ষ এর কাছাকাছি কানে ট্যাগ পড়ানো হয়েছে। ট্যাগ পড়া না থাকলে পাশাপাশি সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবে না।আমরা ব্লু সিল্যাঁ সিপি রোগের টিকা গরুকে ইতিমধ্যেই দিয়েছি ।মালদা জেলায় চার থেকে আট মাস বয়স পর্যন্ত প্রায় ৭০০০০ বাছুরকে ব্লু শিলা সী পি রোগের টিকাকরণ কর্মসূচি দিয়েছে।