মলয় দে, নদীয়া:- সংসারে অন্নের অভাব না থাকার কারণেই অন্নপূর্ণা পূজিত হয়ে থাকেন, তবে নদীয়ার শান্তিপুরের রায় পরিবারের পুজো সার্বিক ভাবে সকলের নিরোগ এবং সুস্থ থাকার উদ্দেশ্যে করা হয়ে থাকে।
আজ বাসন্তী পূজার মহাষ্টমী, সেই উপলক্ষেই অন্নপূর্ণা পূজা। নদীয়ার শান্তিপুর নতুনপাড়া ষষ্ঠীতলা লেনের রায় পরিবারে বিগত ছয় বছর ধরে এই পূজা হয়ে আসছে। অন্নপূর্ণা পাটে ওঠার আগেই গতকাল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শান্তিপুর মরমের সহযোগিতায় আয়োজিত হয়েছিলো এক স্বাস্থ্য শিবির, শতাধিক মানুষ সেখানে তাদের শারীরিক সমস্যার কথা জানান অভিজ্ঞ ডাক্তার বাবুদের, করেন শারীরিক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ঔষধ নেওয়া এবং সবকিছুই বিনামূল্যে । রায় পরিবারের তাপস রায় এবং তার স্ত্রী সহ বেশ কয়েকজন পরিবার সদস্য এবং প্রতিবেশিরা মরণোত্তর চক্ষু এবং দেহ দানের অঙ্গীকার পত্রে স্বাক্ষর করেন। তাপস বাবু পেশায় প্যাথলজিক্যাল বিভিন্ন কাজকর্ম করে থাকেন, এই কারণেই অভাবী ঘরে অসুস্থতার চরম কষ্ট এবং দুরাবস্থা প্রতিনিয়ত দেখে থাকেন অত্যন্ত কাছ থেকে তাই হয়তো তার এই ধরনের আয়োজন এমনটাই জানিয়েছেন পরিবারের অন্য সদস্যরা। তাপস বাবু স্থানীয় শান্তিপুর মরমীর সদস্যও। পুজোর খরচ কিছুটা বাঁচিয়ে মরণোত্তর চক্ষু এবং দেহ দানের কাজে অভিজ্ঞ এবং সারা বছর নিরলস পরিশ্রম করে যাওয়া সংস্থা মরমী কে 5000 টাকার চেক প্রদান করেন। তিনি বলেন মা অন্নপূর্ণার কাছে আমার এটাই আহুতি। সার্বিকভাবে সকলে সুস্থ এবং নিরোগ থাকুন এই প্রার্থনা করেছি মার কাছে।
এ তো গেলো অন্নপূর্ণা পাটে ওঠার আগের দিন অর্থাৎ গত কালকের ঘটনা। আজ পুজো উপলক্ষে আত্মীয়-স্বজন বন্ধু পরিচিত প্রতিবেশী সকলেই উপস্থিত হয়ে হয উৎসবের চেহারা নিয়েছে রায় পরিবারের পুজো। একই সাথে চলছে কলকাতার স্বনামধন্য মেডিসিন ডক্টর ডক্টর উত্তম কুমার মন্ডল। একদিকে পুজোর ঢাক বাজছে অন্যদিকে চলছে চিকিৎসা। আমন্ত্রিত প্রায় সকলেই দেবী কে প্রণাম করার পাশাপাশি নিজের শরীর সম্পর্কে পরামর্শ নিতে ভোলেননি ডাক্তার বাবুর কাছ থেকে। এ ধরনের উদ্যোগের খুশি সকলেই।