নদীয়ার শ্রমিক সংগঠনের বিভিন্ন রঙের পতাকার সমাহার ও বিপুল মানুষের জমায়েতে রেল কর্তৃপক্ষ আপাতত পিছু হটলো হকার উচ্ছেদে

Social

মলয় দে নদীয়া:- গত দু’বছর আগে আজকের দিনে হয়েছিল লকডাউন। আবারো কর্মের লকডাউনে আতঙ্কে ভুগছে রেলওয়ে হকার ভাইয়েরা। তবে তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের পতাকার সমাহারে বিপুল পরিমাণে মানুষের জমায়েতে আপাতত পিছু হটতে বাধ্য হল রেল কর্তৃপক্ষ।

নদীয়ার ফুলিয়া স্টেশনে রেলওয়ে হকার উচ্ছেদের প্রতিবাদে এবার পথে নামল তৃণমূল কংগ্রেসের ট্রেড ইউনিয়ন। যদিও তাদের সঙ্গে পরে যোগ দেয় সমস্ত রাজনৈতিক দলের ট্রেড ইউনিয়নগুলি। আজ বুধবার ফুলিয়া স্টেশনে হকার উচ্ছেদের খবর আগাম জানার পর হকারদের সংগঠিত করে তৃণমূল কংগ্রেসের ট্রেড ইউনিয়নের লোকজন হকার উচ্ছেদের প্রতিবাদে জমায়েত হয়েছেন। তারা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ করা হলে তারা রুখে দেবেন। আইএনটিটিইউসির শান্তিপুর শহর-সভাপতি সনৎ চক্রবর্তী অভিযোগ করেছেন,’ বিভিন্ন স্টেশনে হকার উচ্ছেদ করে কেন্দ্রীয় সরকারের রেল কে বেসরকারিকরণের পথে নিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন জনবিরোধী নীতি নিয়েছে। এর আগে শান্তিপুর ষ্টেশনে হকার উচ্ছেদ করতে রেল পুলিশ আসলেও প্রতিবাদের কারণে তারা হকার উচ্ছেদ করতে পারেনি। এবার ফুলিয়া স্টেশন হকার উচ্ছেদ করতে আসলে তারা হকারদের সংগঠিত করে রুখে দেবেন। পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ করা যাবে না।’ কয়েকদিন আগে হবিবপুর স্টেশনের হকার উচ্ছেদের প্রতিবাদে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে এক হয়ে হকার উচ্ছেদের প্রতিবাদ জানিয়েছিল। সনৎ চক্রবর্তী জানিয়েছেন,’ এখানেও ব্যবসায়ী সমিতির লোকজন হকার উচ্ছেদের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তাদের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোকজন রয়েছেন।’ সিপিএমের ট্রেড ইউনিয়ন সিটুর নদীয়া জেলা কমিটির সদস্য অনুপ ঘোষ জানিয়েছেন,’ রেলের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে আমরা এর আগেও যৌথভাবে আন্দোলন করেছিলাম। ফুলিয়া রেলবাজার সমিতির ডাকে হকার উচ্ছেদের প্রতিবাদে আবার যৌথভাবে আমরা আন্দোলনে নেমেছি।’হকার উচ্ছেদের প্রতিবাদে যৌথ আন্দোলনে সামিল হয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা ও রামনগর 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা তাপস রায় জানিয়েছেন,’ আমাদের সাংসদ জগন্নাথ সরকারেরর মাধ্যমে রেল দপ্তরের কাছে আমরা একটা জিনিস জানতে চাই, রেলের উন্নয়নের জন্য জায়গার প্রয়োজন আছে ঠিকই, তবে রেলের জায়গায় যারা কিছু বিক্রি বাটা করে সংসার চালাচ্ছে, সেইসব হকারদের পূনর্বাসনের চিন্তাভাবনাও রেলের করা উচিত।’ কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আই এন টি ইউ সির হকার্স ইউনিয়নের নেতা পঙ্কজ চক্রবর্তী জানিয়েছেন,’ হকারদের রুটি-রুজির স্বার্থে আমরা এখানে সমস্ত রাজনৈতিক দলের ট্রেড ইউনিয়নের লোকজন একত্রিত হয়েছি। হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে তাদের উচ্ছেদ করার চেষ্টা হলে আমরা সর্বশক্তি দিয়ে রুখে দেব।’
এ আই টি ইউ সি নেতৃত্ব পার্থ অধিকারী জানান রাজনৈতিক ঊর্ধ্বে হকারদের পক্ষে আমরা।
স্থানীয় আয়োজক আইএনটিটিইউসি নেতৃত্ব রাজীব মন্ডল জানান রেল কর্তৃপক্ষর যে আমরা লিখিত ডেপুটেশন জমা দিয়েছি । তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা আমাদের কেউ মেনে চলতে হবে তা হল রেল স্টেশনে ঢোকার প্রধান রাস্তাটি রেলযাত্রীদের এবং সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য সাইকেল মোটরসাইকেল গাড়ি অযাচিত ভিড় করলে চলবে না, সে বিষয়েও আমরা সতর্ক থাকবো।

Leave a Reply