মলয় দে নদীয়া:- বারো মাসে তেরো পার্বণ লেগেই আছে ধর্মপ্রাণ নদীয়ায়। যার মধ্যে অন্যতম শান্তিপুর। যেখানে গোপাল পুজো নিয়ে উন্মাদনা উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়। ঘরের ছেলের মতোই তাদের নাম বড় গোপাল, মেজ গোপাল, ছোট গোপাল, ধেড়ে গোপাল, থ্যাবড়া গোপাল নাড়ু গোপাল আরো কত কি। তবে ধাতব গোপাল নিয়ে রয়েছে নানান লৌকিকতা। তালা বন্ধ অবস্থায় তাঁকে রেখে কখনোই, গৃহস্থ সকলে একসাথে কোথাও যেতে পারেন না। আর যদি পরিস্থিতি সেই রকমই হয় তাহলে প্রতিবেশী কারোর কাছে রেখে অথবা সাথে করে নিয়ে যাওয়ার রীতি প্রচলিত আছে।
মূলত শান্তিপুরে দোল উৎসব কে কেন্দ্র করে পূজিত হন গোপাল । আর তাই শান্তিপুরের সূত্রাগড় চড়ে চলছে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি, করোনা আবহাওয়া কাটানোর পর এবার আবার তারা ব্রতী হয়েছেন গোপাল পূজার উৎসবে , তবে শেষ পর্যায়ে চূড়ান্ত প্রস্তুতির মাধ্যমে শান্তিপুর সূত্রাগড় চড় দোলযাত্রার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। পুজো উদ্যোক্তাদের কথায় দীর্ঘ ৫৮ বছর ধরে চলে আসছে এই পুজো, ভক্তের মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন এই গোপাল । নিঃসন্তান দম্পতির কোল আলো করে এই গোপালের আশীর্বাদ। এই পূজা উপলক্ষে তিন দিন বসে মেলা ,জেলার দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে এই সুউচ্চ গোপাল মূর্তি দর্শন করতে। কোন মৃৎশিল্পী নয় এলাকার সাধারণ মানুষ এবং ক্লাবের সদস্যরা তৈরি করে এই সুউচ্চ গোপাল মূর্তি। চলে বাজনার আসর, পুজো কমিটি তরফ থেকে ভোগের ব্যবস্থা করা হয় পূজা চলাকালীন । তবে পুজো উদ্যোক্তাদের মতে নদীয়াজেলা নয় পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় গোপাল মূর্তি শান্তিপুর সুত্রাগড় চড়ে তৈরি হচ্ছে, যার উচ্চতা প্রায় ২৭ ফুট। জানা যায় এই সুবিশাল গোপালের মূর্তি তৈরির কাজে হাত লাগানো হয়েছে প্রায় গত এক মাস আগে থেকে, এখনো অনেকটাই মূর্তি তৈরীর কাজ বাকি। তবে সময়মতো গোপালের মূর্তি তৈরি সম্পূর্ণ করতে পারবে বলে আশাবাদী এলাকার মানুষ। যদিও এখন থেকেই এই সুবিশাল গোপালের মূর্তি দেখার জন্য শান্তিপুর ছাড়াও বাইরে থেকেও প্রচুর মানুষ আসছেন, এবং এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখছেন এই সুবিশাল গোপালের মূর্তি।