মলয় দে নদীয়া:- শীত মানেই যেমন নলেন গুড়, কাশ্মীরি শাল ওয়ালা, ভোরের কুয়াশা রঙ বাহারি ফুলের মেলা, পিকনিক ঠিক তেমনি পরিযায়ী পাখি।
ভূ প্রকৃতির কারনে, শীত পড়ার সাথে সাথেই হাঁস প্রজাতির লেঞ্জা হাঁস, পেলিকান জাতীয়, সোয়াম্পেন পিন্টেন নানা ধরনের পাখি সাইবেরিয়া, উত্তর ভারত এবং ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে বাংলায় এসে ভিড় করে বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের পুকুর জলাশয়ের ধারে নিরিবিলি জায়গায়।
নদীয়ার বিভিন্ন প্রান্তে এই মনোরম দৃশ্য দেখতে হাজির হন অনেক প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ, ফটোগ্রাফার এবং পক্ষী বিশারদরা।
তবে ইদানিং নানাভাবে পরিবেশ দূষণ, বন কেটে কংক্রিট তৈরির ফলে বদলাচ্ছে ভূ প্রকৃতির স্বাভাবিকত্ব। আর তার ফলে পরিযায়ী পাখিদের আসার সংখ্যা কমেছে অনেকটাই। তার উপরে রয়েছে চোরাচালানকারীদের দাপট, বনদপ্তর এর উদাসীনতা এবং আদিবাসী শ্রেণী কে সঠিক ভাবে বোঝাতে না পারার ফলে এখনো, এ ধরনের পাখি ডিম বাচ্চা এবং পাখির মাংস খোলাবাজারে অনেক সময়ই বিক্রি হতে দেখা যায়। বন্য পশু পক্ষী সংরক্ষণের আইন থাকলেও তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অগ্রাহ্য হয়ে থাকে কোন দপ্তরের উদাসীনতায়।
তেহটটো মহাকুমার জলঙ্গি নদীর তীরবর্তী খাসপুর বয়ারবান্দা গ্রাম, পলাশীপাড়া বিধানসভার ঝিনুক ঘাটা গ্রামে এ ধরনের নানা অপ্রীতিকর ঘটনার কথা মুখে মুখে প্রচলিত এলাকাবাসীদের।
তেহটটো গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান চায়না মন্ডল খান এ বিষয়ে সরব হয়েছেন। তিনি বিডিও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এবং জেলা পর্যায়ে বনদপ্তরের বিভিন্ন আধিকারিক এর সাথে কথা বলেছেন।অন্যদিকে গ্রামের স্থানীয় ক্লাব বারোয়ারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনদেরও পরামর্শ দিয়েছেন বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণের জন্য।