মলয় দে নদীয়া:- সামনেই প্রজাতন্ত্র দিবস। তাই রয়েছে জাতীয় পতাকার চাহিদা। নদীয়ার শান্তিপুরের আশানন্দ পাড়ায় শান্তিপুর সাহিত্য পরিষদের পক্ষ থেকে বিগত কয়েক বছর ধরে যে সেলাই ট্রেনিং সেন্টার চলছে, সেখানে কর্মরত বিভিন্ন বয়সের মহিলারা বর্তমানে এখন জাতীয় পতাকা তৈরিতে ব্যস্ত। ইতিমধ্যেই শতাধিক জাতীয় পতাকা তৈরি করার পর তা বিক্রি হয়ে গিয়েছে। আবার নতুন করে তারা জাতীয় পতাকা তৈরি করছেন। শান্তিপুর সাহিত্য পরিষদের কর্ণধার সুশান্ত মঠের উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল এই সেলাই ট্রেনিং সেন্টারটি। তিনি জানিয়েছেন,’ শান্তিপুর সাহিত্য পরিষদে বহু পুরনো পান্ডুলিপি সহ একাধিক পুঁথিপত্র থাকা সত্ত্বেও ইদানিং পাঠকসংখ্যা ভীষণ কমে গিয়েছিল। তাই মূলত পাঠক সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে সাহিত্য পরিষদের ট্রেনিং সেন্টার খোলা হয়। পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু আয়ের লক্ষ্যে কলেজ ছাত্রীরাও ওই ট্রেনিং সেন্টারে গিয়ে কাজকর্ম করে বেশকিছু আয়ের পথ দেখতে পেয়েছেন।মূলত মেয়েদের সায়া, ব্লাউজ সহ বিভিন্ন ধরণের পোষাক তৈরীর কাজ দিয়েই শুরু হয়েছিল এই ট্রেনিং সেন্টারটি। বিভিন্ন জায়গা থেকে কাপড় কিনে নিয়ে এসে এখানেই তৈরি করা হয় মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের পোশাক। যদিও গত বছর করোনা পরিস্থিতিতে কলকাতা থেকে কাপড় কিনে নিয়ে আসার সমস্যা তৈরি হয়।তাই পোষাক তৈরীর ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটেছিল। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা ভালো ।তাই আবার নতুন উদ্যমে বিভিন্ন বয়সের মহিলারা এখানে পোশাক তৈরি করছেন। গতবছর করোনা পরিস্থিতিতে টুকরো কাপড় দিয়ে মহিলারা তৈরি করেছিলেন মাস্ক। তার ভালোই চাহিদা তৈরি হয়েছিল। গত বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে তারা জাতীয় পতাকা তৈরি করেছিলেন। মহিলারা জানিয়েছেন, এবার জাতীয় পতাকার ভালোই চাহিদা রয়েছে। তাই তারা বর্তমানে জাতীয় পতাকা তৈরিতে ব্যস্ত।