মলয় দে নদীয়া :-এ যেনো প্রদীপের নিচেই অন্ধকার!! দিন রাত এক করে লক্ষ্মী দেবীর মূর্তী তৈরী তা বিক্রি করে লক্ষ্মী লাভের আশায় নবদ্বীপ শহরের বিভিন্ন প্রান্তের মৃৎশিল্পী ও তাদের পরিবারের জীবন্ত লক্ষ্মী রা।
শনিবার হবে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো।
রথের পর থেকেই কম বেশী মৃৎশিল্পীরা ব্যাস্ত হয়ে পরে, কারন পর পর তাকে বিভিন্ন পুজোর মরসুম।
পাশাপাশি বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গা পুজো।
বিগত কয়েক বছর করোনা আবহে সেভাবে যাক জমক পূর্ণ ভাবে কোন পুজো অনুষ্ঠান না হওয়ার কারনে অধিকাংশ মৃৎশিল্পীরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পরেছিল।
ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে তারাও যেন নতুন করে জীবন যুদ্ধে বেঁচে থাকার রসদ খুজে পেতে শুরু করে।
বিশ্বকর্মা পুজোতেও মৃৎশিল্পী দের ব্যাবসা ভাল হয়েছে, মূলত যারা ছোট ও ছাচের প্রতিমা তৈরী করে তাদের।
বাজারে দোকানী দেরও বিশ্বকর্মা পুজোয় প্রতিমার টান ছিল ভালই।
সদ্য দূর্গা পুজো শেষ হতেই পুনরায় লক্ষী লাভের আশায় মৃৎশিল্পীরা।, আর এই কাজে দিন রাত এক করে কাজে হাত লাগিয়েছে মৃৎশিল্পীদের বাড়ির, মহিলা সহ সকল সদস্যরাও।
কারন শনিবার বার কোজাগরী লক্ষী পুজো।
লক্ষী দেবীর আরাধনায় ব্রতী হবে সকলেই।
তাই লক্ষী প্রতিমা তৈরীতে ব্যাস্ত নবদ্বীপ শহরের ফাঁসি তলা, দন্ডপানি তলা, সহ বিভিন্ন এলাকার মৃৎশিল্পীরা, দিন রাত চলছে কাজ।
কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী রীমা দাসও তার দাদুর কাজে হাত লাগিয়েছে মূর্তি রং করতে।
মূর্তী তৈরির কাজে হাত লাগিয়ে দিন রাত কাজ করে চলেছে, ফাঁসি তলা এলাকার সাধনা পাল নামে এক গৃহবধূও, তিনি জানান বিয়ে হয়ে আশার পর থেকেই কম বেশি এই পেশায় স্বামী সহ পরিবারের পাসে থাকার লক্ষ্যে কাজে সাহায্য করে আসছে, যা প্রায় ৩৫ বছর হলো,
কিন্তু বীগত দু- তিন বছরে রং, মাটি, শ্রমিক মুজুরি সহ বিভিন্ন কাঁচা মালের যে ভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে এ কাজ করে লাভের মুখ দেখা মুশকিল হয়ে পরেছে, তাই বর্তমানে সেও দিন রাত এক করে কাজ করে চলেছে,।
কারন হাতে সময় কম, আর তিনি আরও জানান বিভিন্ন মাপের তাদের তৈরী দেবী মূর্তী শুধু নবদ্বীপ নয়, নবদ্বীপ ছাড়াও নদীয়ার বিভিন্ন জেলা সহ ভিন জেলাতেও পাইকারি হিসেবে যায়, সুতরাং কাকের বরাতটা আছে,
কিন্তু লাভের পরিমাণ প্রায় তলানিতে,
মৃৎশিল্পী জীবন কৃষ্ণ পাল বলেন বিশ্বকর্মা পুজোতে ভাল বিক্রি হয়েছে, সেই আশাতেই লক্ষী মূর্তি বেশি করে তৈরী করছি, আশাকরি বাজার ভাল যাবে,
কিন্তু কাচা মালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বেশ, আর তাতাে লাভের মুখ সেভাবে দেখতে পাচ্ছেন না বলেও জানায়।
সব মিলিয়ে জীবন্ত লক্ষীর হাতের ছোয়ায় তৈরী লক্ষী মূর্তিতে কতোটা লাভের মুখ দেখতে পারে মৃৎশিল্পী সেটাই এখন দেখ সময়ের অপেক্ষা।