প্রীতম ভট্টাচার্য, নদীয়া: শীতের রোদ গায়ে মেখে তৈরী হয় মাটির পাত্র।গ্রামের প্রতিটি ঘরে চলে প্রতিদিন মাটির পাত্র তৈরী। কৃষ্ণনগর থেকে মাজদিয়া যাওয়ার পথে পড়বে এই গ্রাম “খামার পাড়া”।এখানে প্রতিটি ঘরের মূল ব্যবসা মাটির পাত্র তৈরী করা, বাড়ির পুরুষ মহিলা সকলেই এই কাজে ব্যাস্ত। কুয়োর পাট, মাটির সরা,রুটি তৈরীর পাত্র, ফুলের টব, পিঠের পাত্র, সব পাওয়া যায় এখানে।
৭২ বছরের বৃদ্ধা উমারাণী পাল ছোট বয়সে বিয়ে হয় এই গ্রামেরই এক যুবকের সাথে। শ্বশুরবাড়ীর মূল ব্যবসা ছিলো মাটির পাত্র তৈরী।তিনি স্বামীর সাথে ব্যাস্ত হয়ে পড়েন এই কাজে, এখন তিনি নিজেই তৈরী করেন মাটির পাত্র। পৌষপার্বণ বাজার ধরতে তিনি তৈরী করেন পিঠে বানানোর সরা। নিতাই পাল বৈদ্যুতিক চাকের সাহায্যে গড়ে চলেছেন মাটির ইতু ঘট। এখানে পারিবারিক রোজগার আসে এই মাটির পাত্র তৈরী করে। চারিদিকে পরে আছে মাটির পাত্র, অনেকেই আসেন এখান থেকে মাটির পাত্র সংগ্রহ করতে। বিভিন্ন জায়গার বাজারে বিক্রী হয় এখানের এই মাটির পাত্রগুলি।রাস্তার ধারে সারি দিয়ে হয়েছে মাটির পাত্রের দোকান।