নদীয়ার শান্তিপুরে সান্টা বিকোচ্ছে কেজি দরে! তাও আবার মিষ্টির দোকানে

Social

মলয় দে নদীয়া:- আসন্ন বড়দিন উপলক্ষে সারা পৃথিবীর মতন এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলাগুলিতেও কেক, ক্রিসমাস ট্রি ,স্নোবল, সান্তা ক্লজ এবং তার নানান রকম উপহার সামগ্রী অনেকেই বিক্রির পসরা নিয়ে সাজিয়ে বসেছেন গলি থেকে রাজপথ সর্বত্র। এই কদিনের জন্য ব্যস্ত পাড়ার মোড়ও হয়ে উঠেছে কলকাতার পার্কস্ট্রিট।

ছোটরা তো বটেই আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা প্রত্যেকেই ব্যস্ত কেনাকাটায়।
তবে নদীয়ার শান্তিপুর শ্যামবাজারে এক প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকানে রসগোল্লা নিখুঁতি, লর্ড চমচম, মিহিদানা বোঁদে জয়নগরের মোয়ার সাথেই রাখা রয়েছে লাল-সাদা টুকটুকে একজোড়া স্যান্টাক্লজ। না.. না.. শোপিস হিসেবে দোকানের সৌন্দর্য বৃদ্ধি অথবা খরিদ্দারের মনোরঞ্জনের উদ্দেশ্যে নয়, রীতিমতো কেজি দরে বিক্রির জন্য। দোকানদার সানি ঘোষ জানান, দুর্গাপুজো কালীপুজো রাস ভাইফোঁটা জামাইষষ্ঠীর মতন বিভিন্ন উৎসবে নতুন ধরনের মিষ্টি বানানোর চেষ্টা করা হয়ে থাকে তবে বড়দিন উপলক্ষে এই প্রথম ক্ষীরের স্যান্টাক্লজ। সম্পূর্ণ ক্ষীরের তৈরি এই স্যান্টাক্লজ দুটি মাথা দেহ হাত পা সবটাই খাওয়া যাবে শুধু পোশাক এবং গোঁফ দাড়ি বাদ দিয়ে। ১কেজি ৫০ গ্রাম করে ক্ষীর লেগেছে বানাতে। মৃৎ শিল্পীদের মতই অসাধারণ শিল্পকর্ম প্রকাশিত হয়েছে এক মিষ্টান্ন শিল্পীর কর্মদক্ষতায়। অনেকেই কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও, দোকানির ইচ্ছায় শেষ দিন অর্থাৎ আজ সন্ধায়, প্রথম ইচ্ছা প্রকাশ করা দুই ব্যক্তিকে তা বিক্রি করা হবে। আর সেই সময়টুকুর মধ্যে, জিভের সাধে না হলেও চোখের সাধ মেটাতে মাছি ভনভন মানুষের ভিড় মিষ্টির দোকানে। চলছে সেলফি এবং ফটো তোলার হিড়িক। তবে এ বছরের অভিজ্ঞতায় মিষ্টান্ন প্রস্তুতকারকের ওই ব্যবসায়ী আগামী বছরের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করলেন বলেই জানিয়েছেন।

Leave a Reply