মলয় দে নদীয়া:- প্রায়শই বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ পথ অবরোধের কথা শোনা যায়। এমনকি স্থানীয় ছোটখাট সমস্যা হলেও অনেকেই আন্দোলনের প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নেন জাতীয় সড়ক। অথচ দূর দূরান্ত থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে অথবা অ্যাম্বুলেন্স বা অন্য কোনো এমার্জেন্সি সার্ভিসের ক্ষেত্রেও অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে তাদের পরিষেবা। কিন্তু আন্দোলনকারীদের অতশত খতিয়ে দেখেন না। কিন্তু নদীয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ 34 নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করার আগে স্থানীয় মহিলারা রেল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এবং জাতীয় সড়ক দিয়ে চলাচলকারী সরকারি মন্ত্রী আমলা জনপ্রতিনিধি সরকারি আধিকারিকদের যাতায়াত তারা যদি এই পোস্টার দেখার পরেও উদাসীন থাকে তাহলে অবধারিত ভাবে অবরুদ্ধ হবে জাতীয় সড়ক এমনটাই জানালেন এলাকার মহিলারা। পথ অবরুদ্ধ না করে আগাম জানানোর এই ব্যবস্থাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পথচলতি বিভিন্ন গাড়ির চালকরা, তারা বলেন স্থানীয় মানুষদের যেমন অসুবিধা সেই রকম অসুবিধা আমাদেরও।
এলাকা সূত্রে জানা যায় ওই এলাকা বাবলা পঞ্চায়েতের অন্তর্ভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও ধুলো কমানোর জন্য জল দেওয়ার কোনো বিধি ব্যবস্থা করেননি। এমনকি সাংসদ বিধায়কদের জানানো সত্ত্বেও কোন ব্যবস্থা হয়নি। বর্ষার সময় কাদা এবং অন্য সময়ে ধুলোয় প্রাণ ওষ্ঠাগত স্থানীয় দোকানদারদেরও। অতীতেও পথের খোয়া ছিটকে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এবং মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। এখন এলাকাবাসী প্রতীক্ষায় এই উদার মানবিকতার কতটুকু দাম দেবে প্রশাসন?