মলয় দে নদীয়া:- রাস উপলক্ষে বিভিন্ন বিগ্রহ বারোয়ারি মণ্ডপসজ্জা প্রতিমা প্রদর্শন করেছেন ঠিকই কিন্তু শান্তিপুর পটেশ্বরী স্ট্রিটের উপর অবস্থিত রাধা মাধবের মন্দিরে গিয়েছেন? যদি না গিয়ে থাকেন তাহলে আপনার পরিবারের বৃদ্ধ সদস্য অথবা সদ্যজাত তাদের কাছে বিষয়টা পরিষ্কার হয়নি।
ঈশ্বর অরবিন্দ কুন্ডু ২৫ বছর আগে এই স্থানে তার বাসভবনের সুবিশাল জায়গাতে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর জন্য বৃন্দাবন তৈরীর প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছিলেন। আর তার সমুদ্র সুপ্রিয় শেখর কুন্ডু তা আরো প্রাণবন্ত করে তুলেছেন। তিনি জানান মূলত অষ্টকালী ভবন বলে পরিচিত তাদের বাড়ি। তবে রাধা মাধব এখানে নিত্য পূজিত হন, তাই অনেকেই শ্রীরাধা প্রাণ গোবিন্দ জিউর নামে পরিচিত এই বাড়ি।
বৃন্দাবনের রাসলীলা সকল সখীদের নাম সহ প্রত্যেকের মাটির প্রতিমা। শ্রী কৃষ্ণের কৈশোর এবং যৌবনে নানান জীবনশৈলীর বিশেষত রাধা কেন্দ্রিক সমস্ত তুলে ধরা হয়েছে বিভিন্ন পুতুল এবং লেখনীর মাধ্যমে। কিছুটা খোলামেলা প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে, অপরূপআলো এবং শিল্পকর্ম এবং শব্দ যন্ত্রের মাধ্যমে এক স্বর্গীয় পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে যা আপনার পরিবারের প্রত্যেক সদস্যদের মন যোগাবে। বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে সহজে শ্রীকৃষ্ণ মহাপ্রভু অদ্বৈতাচার্য এবং রাসলীলা সম্পর্কে বেশকিছু উপাখ্যান সহজেই বোঝানো সম্ভব।
এখানে চাকে,ঘোরা সখীদের মাঝে শ্রীকৃষ্ণের লীলা চলাকালীন কোন পুরুষ প্রবেশ করতে পারে না, যেটা রাসের মূল বিষয়।
যারা সশরীরে রাস দেখতে আসতে পারেননি তাদের জন্য রইলো আমাদের এই বিশেষ প্রতিবেদন। ঘরে বসে উপভোগ করুন শান্তিপুরের রাস।