মলয় দে নদীয়া:-ভৈরব হল একটি সংস্কৃত শব্দ। যার প্রকৃত অর্থ ভয়ঙ্কর। ভৈরব হল মহাদেবের একটি ভয়ঙ্কর রূপ। শিব পুরাণে শিবের এই রূপের বিষয়ে বর্ণণা করা হয়েছে। মনে করা হয় এই দিনে মহাদেব কাল ভৈরব রূপ ধারন করেন। এই দিনে অনেকেই উপোস করেন। মনে করা হয়, এই দিন তন্ত্র সাধনার এক অন্যতম দিন। কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে কাল ভৈরব অষ্টমী হিসেবে পালন করা হয়। মহারাষ্ট্রে ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার পালিত হবে। কেন শিব-কে এই রূপ ধারণ করতে হয়েছিলো।
হিন্দু দেবতা শিবের একটি হিংস্র প্রকাশ বা অবতার, যা মৃত্যু এবং বিনাশের সাথে সম্পর্কিত।তিনি কাল ভৈরব নামেও পরিচিত। রাজস্থান, তামিলনাড়ু এবং নেপালে হিন্দু পুরাণের দেবতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেবতা হিসেবে বিবেচিত। হিন্দু ও জৈন ধর্মে সমানভাবেই তাকে সম্মান করা হয়।
শিব পুরাণ অনুসারে, জানা যায় আদিতে সৃষ্টি কর্তা ব্রহ্মার পাঁচটি মুখ ছিল। একইসঙ্গে শিবও ছিলে পঞ্চানন। তবে ব্রহ্মা অসম্ভব অহঙ্কার প্রকাশ করায় মহাদেব তাঁর একটি মস্তক নষ্ট করে দেন। ফলে ব্রহ্মহত্যার পাপ লাগায় দীর্ঘ সময় ধরে শিব-কে ঘুরে বেড়াতে হয় পাপ খণ্ডনের জন্য। শিবের এই রূপই ভৈরব রূপে পূজিত হয়। তাই মনে করা হয় শিবের এই রূপের পুজো করলে অশুভ শক্তি দূরে সরে জীবনে ফিরে আসে সুখ ও সমৃদ্ধি। কাল ভৈরবের বাহন হল কুকুর। যেমন ছিন্নমস্তা কালীর মাতার ক্ষেত্রে শেয়াল । তাই মনে করা হয় এই দিনে কুকুরকে খাওয়ানো অত্যন্ত শুভ।
তবে নদীয়া শান্তিপুর সুত্রাগড় দালাল পাড়া লেনে স্থানীয় এক যুবকের স্বপ্নে আদেশ পাওয়া পাঁচ বছর আগে থেকে এই পুজো হয়ে আসছে। যেহেতু স্বপ্নাদেশে তাই উদ্যোক্তারা জানান, পুজোর নিয়মকানুন প্রতিমার গঠন এবং বাহন সম্পর্কিত বিষয়ে ঠাকুরমশাই দের কাছ থেকে পাওয়া নিয়মে চলছে পুজো। তবে সারমেয়দের মিষ্টিমুখ এবং অন্যান্য খাবারাদি প্রদান প্রতিবছরই চলে এসময়। জীবসেবাই শিব সেবা। মৃৎশিল্পী মুন্না পাল জানান অনুন্নত কুম্ভকার সমিতির রাজ্যের দায়িত্বে থাকার কারণে বহু মৃৎ শিল্পীদের সঙ্গে আলাপ, কেউ ঠাকুরের রুপ সম্পর্কে খুব বেশী জানেন না তাই এভাবেই করে আসছি।