মলয় দে নদীয়া:- বহু প্রাচীনকাল থেকেই ধর্মীয় ঐতিহ্যের শহর শান্তিপুর। একদিকে যেমন বৈষ্ণবদের পূণ্যভূমি অন্যদিকে শাক্তদের পীঠস্থান। তাই শাক্ত এবং বৈষ্ণবদের মিলনস্থল এই শান্তিপুর, আর তাকে কেন্দ্র করে বারো মাসে তেরো পার্বণ লেগেই থাকে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত এমনকি জেলার বাইরে থেকেও সেই উপলক্ষে একদিকে যেমন ভক্তবৃন্দ দের ঢল নামে অন্যদিকে বিভিন্ন দলগত বাদ্যযন্ত্র, ঢাকি বর্তমানে শোভাযাত্রার আলোকসজ্জা, বিভিন্ন মেলা উপলক্ষে দোকানদারেরা এসে পৌঁছান উৎসবের আগে।
দুর্গাপূজাতে যেমন ঢাকের প্রয়োজন হয় ঠিকই তবে কালি পুজোতে আরো বেশি। রীতি অনুযায়ী ঢাক ,চড়বড়ি, তাশা, ব্যঞ্জন আরো কত কি, তারা পুজোর দুদিন আগেই এসে পৌঁছান শান্তিপুর রথ তলায়। সেখানে বিভিন্ন বারোয়ারি এবং কালীপুজো উদ্যোক্তারা ঢাকি খুঁজতে আসেন এবং গুণগত মান দেখে উপযুক্ত পারিশ্রমিক দিয়ে ঢাকিদের নিয়ে যান। পুজো উদ্যোক্তাদের আকৃষ্ট করতে তারা অনুশীলন চালিয়ে যান নিয়মিত। তবে তাঁরা জানান এখন নানান রকম বাদ্যযন্ত্র কারণে মূল ঢাকিরা খুব বেশি ভাড়া পান না, এমনকি এই পেশায় নতুন করে এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা আগ্রহ প্রকাশ করছে না। দীর্ঘ লকডাউনে তাদের দুরবস্থা কাটিয়ে আবারো আশার আলো দেখতে পূর্বসূরীদের মত শান্তিপুরে এসে আশায় বুক বেঁধেছেন।