মদন মাইতি,পূর্ব মেদিনীপুর: গত ১৬ই সেপ্টেম্বর কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল তার পরে প্রায় দেড় মাস কেটে গেলেও এখনো জমে রয়েছে জল। এর ফলে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর, ভগবানপুর, চন্ডীপুর ও এগরার একাধিক স্কুল খোলা নিয়ে তৈরি হয়েছে সমষ্যা। যদিও সময় মতো স্কুল খুলতে কোন সমস্যা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
করোনা আবহে প্রায় ২ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে স্কুল কলেজ। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর স্কুল খোলা নিয়ে ঘোষণার পরেই শুরু হয়েছে তোড়জোড়। স্যানিটাইজ থেকে পরিষ্কার স্কুল সারাইয়ের কাজ জেলায় জেলায় দেখা দিয়েছে এই ছবি। স্কুল খোলার ঘোষণায় খুশি পড়ুয়া থেকে অভিভাবকরাও।
কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক জায়গায় দেখা গিয়েছে অন্য ছবি। কারণ বৃষ্টি থেমে গেলেও পটাশপুর, ভগবানপুর ,চন্ডিপুর সহ এগরার একাধিক এলাকা এখনো জলের তলায়। প্রাণ বাঁচাতে মানুষ আশ্রয় নিয়েছে স্থানীয় স্কুল বাড়িগুলোতে। অনেক স্কুলেই আবার প্রশাসনের তরফে তৈরি হয়েছে ত্রাণ শিবির। এখানে গত দেড় মাস ধরে আশ্রয় নিয়েছেন আশেপাশের বানভাসি মানুষ।
ঐ পরিস্থিতিতে স্কুল বাড়ি থেকে ত্রান শিবির গুলো অনত্র্য সরিয়ে নিয়ে যেতে উদ্দোগী হয়েছে প্রশাসন। বানভাসিদের যে শুধু মাথা গোঁজার সমস্যা রয়েছে এমনটা নয়। বানভাসিদের মধ্যে এমন অনেক পড়ুয়া রয়েছে বৃষ্টির জলের সঙ্গে ভেসে গিয়েছে তাদের বই খাতা ও।
এই অবস্থায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।