জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর চক্রের বসন্তপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বেলপাহাড়ি চক্রের মাচকাঁদনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মুকুটে নতুন পালক সংযোজন হল শিশু মিত্র পুরস্কার।

Social

ওয়েব ডেস্ক :- আদিবাসী অধ্যুষিত, পিছিয়ে পড়া জঙ্গলমহলেও যে এমন সুন্দর প্রাথমিক স্কুল থাকতে পারে, তা যেন ভাবনার অতীত। শিক্ষা সহ ছাত্রছাত্রীদের মানোন্নয়নে জঙ্গলমহল যে পিছিয়ে নেয় তা প্রমাণ করে দিল। জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর চক্রের বসন্তপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বেলপাহাড়ি চক্রের মাচকাঁদনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মুকুটে নতুন পালক সংযোজন হল শিশু মিত্র পুরস্কার। আজ কলকাতায় অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বসন্তপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক রাজু ঘোষ এবং মাচকাঁদনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক স্নেহাসিশ দাসের হাতে শিশু মিত্র পুরস্কার তুলে দেন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি।

স্কুলে কী নেই? ঝকঝকে রান্না ঘর, শৌচালয়, বিশুদ্ধ পানীয় জলের জন্য পাম্প। হাত মুখ ধোওয়ার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা। স্কুলের সামনে রকমারি ফুলের গাছ। স্কুলের দেওয়ালে নানান সচেতনা মূলক বার্তা, সেভ লাইফ সেফ ড্রাইভ, বিদ্যালয়ে প্লাস্টিকের নিয়ন্ত্রণ,নির্মল পরিবেশ, শিশুর অধিকার এছাড়াও পঠন পাঠন -এর মতো হরেক স্লোগান। কোন কিছুই অভাব নেই। স্কুল চত্বরে বা ক্লাসঘরে, এমনকী বাগানেও সামান্যতম আবর্জনা পাওয়া যাবে না।আবর্জনা ফেলার জন্য রয়েছে দু’ধরনের বালতি। একটিতে লেখা, “আমি পচি না”, অন্যটিতে “আমি পচি”। এভাবে ছোট পড়ুয়াদের পচনশীল ও পচনশীল নয়, দু-ধরনের জিনিসও চিনিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই পুরস্কার হাতে পেয়ে শিক্ষক থেকে শুরু করে পড়ুয়ারা খুবেই খুশি।

Leave a Reply