মলয় দে, নদীয়া:- করোনা পরিস্থিতির পর থেকে নিয়ে যাওয়ার সুবিধার্থে হোক বা আর্থিক কারণে ছোট আকৃতির দুর্গা প্রতিমার দিকে ঝোঁক বাড়ছে ক্রমশ। তবে মৃৎশিল্পীরা জানান কিছুটা শ্রম এবং সময় বাঁচলেও ছোট প্রতিমা নির্মাণে আনুপাতিক হারে সময় বা অর্থ খুব কম লাগে না । বরং বেশ খানিকটা ধৈর্য বাড়াতে হয় এ ধরনের কাজে।
নদীয়ার শান্তিপুরের ঠাকুরের সাজ তৈরি করা শিল্পী প্রীতম খাঁ, জানান দু মাস আগে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বীরভূমের এক পরিবারের যোগাযোগ হয় তাদের ঠাকুর ঘর দোকানের সাথে। হোয়াটসঅ্যাপে মা এর বিভিন্ন রকম ছবি পাঠানোর মধ্য থেকে একটি প্রতিমা পছন্দ করে, কিছু অর্থ অগ্রিম হিসাবে পাঠানোর পর শুরু হয় প্রতিমা নির্মাণের কাজ। তিন ফুট উচ্চতার এবং আড়াই ফুট চওড়া এই প্রতিমা আধুনিক ডাকের সাজে সুসজ্জিত হয়েছে। শান্তিপুর বৈষ্ণব পাড়ায় অমল কুন্ডু পরিচালিত ঠাকুরঘরে প্রীতম বাবুর মত অনেকেই ঠাকুরের সাজের কাজ করে থাকেন। আর সেই কাজ করার ফাঁকে বেশ কয়েক বছর যাবৎ এ ধরনের ছোট আকৃতির দুর্গা কালী লক্ষী গণেশ সরস্বতী প্রতিমার অপরূপ শিল্পকর্ম এখন জেলা পেরিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সমাদৃত।