মলয় দে, নদীয়া:- জাতি ধর্ম নির্বিশেষে যেকোনো ধরনের যন্ত্র চালকরা নিজের কর্ম দক্ষতা থাকা সত্বেও নিয়ন্ত্রক এর ভূমিকায় যাকে বিশ্বাস করেন তার নাম বিশ্বকর্মা। আজ সেই কর্মশক্তি প্রদানকারী দেবতা বিশ্বকর্মার পুজো। স্বভাবতই , রেল বিমান স্থলযান, জলযান চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্র, স্বাস্থ্য কৃষি শিক্ষা এবং বিভিন্ন জনকল্যাণে ব্যবহৃত বিভিন্ন মেশিনঘর পরিষ্কার এবং সেই সংলগ্ন যন্ত্রের প্রতি সম্মান জানিয়ে একদিন সকলেই আনন্দ করে থাকেন আগামী এক বছরের কর্ম উদ্যম বাড়াতে। কিন্তু এমনও কিছু চালক আছেন যাদের পরিষেবা বিপদকালীন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অ্যাম্বুলেন্স, ইলেকট্রিক সাপ্লাই এর গাড়ি, বিভিন্ন হাসপাতালে জেনারেটর এবং জলের পাম্প, সংবাদপত্রের গাড়ি, পেট্রোল পাম্প, এটিএম মেশিন আরো কত কি! বছরে একটা দিন আজ সকলেই আনন্দ করলেও, তারা কর্তব্যে অনড়! মাইনে বৃদ্ধি হোক বা স্থায়ীকরণের দাবি অথবা কোনো কর্মসংক্রান্ত সমস্যা সারাবছর মুখবুজে চিঠি চাপাটি লিখেই প্রতিবাদ জানাতে হয়।
কর্মবিরতি ধরনা আন্দোলন সবকিছু থেকে বিরত তারা। শান্তিপুর পৌরসভার অ্যাম্বুলেন্স চালক শ্যামল দাস জানান, প্রথম প্রথম খুব খারাপ লাগতো, কিন্তু অসহায় মরণাপন্ন অসুস্থ পরিবারের প্রার্থনায় ছুটে যেতে হয় রোগীকে নিয়ে, তখন শুধু মনে মনেই স্মরণ হয় বিশ্বকর্মার।
সূত্রাগড় ইলেকট্রিক সাপ্লাইয়ের গাড়িচালক রামকৃষ্ণ বারই বলেন দশটার সময় পূজো হবে তার আগেই সকাল ছয়টা থেকে ডিউটি করছি, ডিউটির ফাঁকে ফাঁকে পুজোর জোগাড় চলছে সাপ্লাইয়ের অন্য গাড়ির চালকদের এবং ইলেকট্রিক সাপ্লাই কর্মীদের সহযোগিতায়।
শান্তিপুর পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য শাহজাহান শেখ জানান শববাহী গাড়ি এবং দুটি অ্যাম্বুলেন্স সকাল 7 টার মধ্যেই পুজো শেষ করে ফেলা হয়, যেকোনো সময় দাগ পড়তে পারে তাই।
শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ইলেকট্রিক এবং পাম্পে দায়িত্বে থাকা শ্যামল দাস বলেন, 6 জন অস্থায়ী কর্মী মিলে দীর্ঘদিন ধরে এই পুজো করে আসছি, বাবা বিশ্বকর্মা কাছে প্রার্থনা রোগী পরিষেবা সচল রাখার জন্য বিভিন্ন শূন্য পদ পূরণ হোক স্থায়ী ভাবে পাকাপাকি কাজ হোক অস্থায়ী কর্মীদের।