মলয় দে নদীয়া:- “ভীড় করে করে ইমারত আকাশটা ঢেকে দিয়ে চুরি করে নিয়ে যায় বিকালের সোনা রোদ,/ ছোটো ছোটো শিশুদের শৈশব চুরি করে গ্রন্থকীটের দল বানায় নির্বোধ” নচিকেতা চক্রবর্তী গানটার কথা মনে আছে তো! সময়, অতীত,ভালোবাসা, বিশ্বাস, চুরির নানান রকম ফের এসেছে এখন। বই নোবেল পান্ডুলিপি চুরির মতন ঘটনাও বর্তমানে আলোচ্য বিষয়। সোশ্যাল মিডিয়া য় ছবি তথ্য কপি রাইট ভেঙে চুরি এখন আকচার।
তবে সে সব তথ্য কথা। বাস্তবেও মাঝেমধ্যেই সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে নানান অদ্ভুত চুরির ঘটনা।
তবে গতকাল নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের বাগআঁচড়া গ্রামের করমচাপুলি গ্রামের২৬ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এক অদ্ভুত চুরি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অঙ্গনওয়াড়ি শিক্ষিকা সঞ্চিতা হালদার বলেন অন্য আর পাঁচটা সাধারণ দিনের মতন গতকাল তালা মেরে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা গেছেন বাড়িতে।
গতকাল সকালে কেন্দ্র খোলার আগেই এলাকাবাসীর লক্ষ্য করেন গ্রিলের দরজার তালা ভেঙে, লোপাট হয়েছে ওই তালা।
সহকারি শিক্ষিকা মাধবী বিবি বলেন রাস্তা দিয়ে ছড়াতে ছড়াতে গেছে ডাল। এলাকাবাসী পূর্ণিমা সাঁতরা বলেন
অঙ্গনওয়াড়ি শিক্ষিকা এবং সহযোগী দুজনেই স্থানীয় মেম্বার হিসাবে তাকে সাথে নিয়ে ঘরে ঢুকে দেখেন কাগজপত্র এলোমেলো থাকলেও খোওয়া যায়নি কিছুই । এমনকি চাল আলু, ডিম কিছুই নেয়নি চোরে। শুধুমাত্র ২১ কেজি মুসুরির ডালের একটি বস্তা বাদে। রান্নার ভোজ্য তেল মসলা সবকিছুই রয়েছে ঠিকঠাক শুধু উধাও হয়েছে ডালের বস্তা। এলাকাবাসী পূর্ণিমা সাঁতরা বলেন যে পরিমাণ রেশনে চাল দেওয়া চলছে, তাতে বিক্রি করে দাম পাবে না,ডিম নিয়ে যাওয়াও যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ, ভোজ্য তেল মসলা এতই সামান্য পরিমাণে যা পোষাবে না তাই হয়তো ডালের বস্তার দিকে নজর ছিলো চোরেদের।
তবে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর মাধ্যমে থানায় জানিয়েছেন বলেই আমাদের জানান। এলাকার পঞ্চায়েত মেম্বার বলেন এ ধরনের ঘটনা অতীতে কখনো ঘটেনি।