হারমোনিকা বাজানোর মাধ্যমে শখ পূরণ ! ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস এ লিপিবদ্ধ হলো কনিষ্ঠ হারমোনিকা বাদক নদীয়ার সৌমজিৎ এর নাম    

Social

মলয় দে, নদীয়া :- নদীয়া শান্তিপুর শহরের বড় গোস্বামী পাড়ার উৎপল বসাক পেশায় তাঁত শাড়ির নকশাশিল্পী। ছোটবেলা থেকেই মাউথ অর্গান বাজানোর শখ! অল্প বয়সে সংসারের হাল ধরতে গিয়ে শখের কথা শিকেয় তুলে দিনরাত পরিশ্রম করেন। তাছাড়াও হারমোনিকা কেনার অর্থ যেমন ছিল না তেমনি প্রশিক্ষণের ঠিকানা জানা ছিল না তার! পরবর্তীতে মনস্থির করেন একমাত্র সন্তান সৌমজিৎ এর মাধ্যমে পূরণ করবেন শখ। সৌমজিৎ এর বয়স 11 বছর শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। 14 মাস আগে সোশ্যাল মিডিয়ায়, শান্তিপুর নিবাসী শাওন পালের হারমোনিকা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কথা জানতে পারে সে, এরপর নিয়মিত অনুশীলন, এবং আগ্রহ দেখে অবশেষে হারমোনিকাই ভালোবেসে ফেলে ছোট্ট সৌমজিৎ কে। জেলা ছাড়িয়ে রাজ্যের বিভিন্ন পুরষ্কার সংগ্রহ করে নিয়ে আসে শিক্ষক শাওন পালের সাথে গিয়ে। ১ মাস আগে সৌমজিৎ এর মাউথ অর্গান এর একটি ভিডিও আপলোড করে মাস্টারমশাইয়ের প্রোফাইল থেকে, পূর্বে তার বিভিন্ন রেকর্ড করার সুবাদে বন্ধু তালিকায় থাকা ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডের প্রতিনিধিরা যোগাযোগ করে। আজ বিকেলের ডাকে প্রথম স্বীকৃতি মেলে সর্বকনিষ্ঠ মাউথ অর্গান হিসাবে শিল্পীর নাম লিপিবদ্ধকরণের খবর। সারা বিশ্ববাসীর কাছে যেমন রেকর্ড ! তেমনি, দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম মহিলা হারমোনিকা শিল্পী ড: ববিতা বসু, বিখ্যাত হার্মনিকা শিল্পী গৌরব দাস শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান সৌমজিৎ কে।

এ প্রসঙ্গে বাবা উৎপল মণ্ডল আবেগ আপ্লুত হয়ে জানান, জানতাম পিতামাতার ঋণ শোধ হয়না কোনোদিন! আমার ক্ষেত্রে সন্তানেরও…
শিক্ষক শাওন পাল সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জানান, এত অল্প সময়ে নিজে শিখে যোগ্য উত্তরসূরি তৈরি করা সত্যিই ভাগ্যের।

Leave a Reply