মলয় দে, নদীয়া:- অন্য আর পাঁচটা সাধারণ দিনের মতন গতকালও মতিগঞ্জ মোড়ের চায়ের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন নদীয়ার শান্তিপুর শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা যদু মাহাতো। হঠাৎই লক্ষ্য করেন বিসর্জন ঘাটের পাশে নোংরা আবর্জনা স্তুপের মধ্যে ফ্রেমবন্দি হয়ে পড়ে আছে কিছু একটা! আগ্রহবশত তা তুলে নিয়ে দেখেন! ভাঙা নয়! ছেঁড়া নয়, সুন্দর অবস্থায় ফ্রেমবন্দি অক্ষত নেতাজির ছবি।
যদু মাহাতো বুকে তুলে নেন! সসন্মানে মর্যদার সাথেই তার কুঁড়ে ঘরেই ঠাকুরের সিংহাসনে প্রতিষ্ঠা করবেন বলে। তার প্রশ্ন কে এমন আছেন! পরাধীন ভারতবর্ষ থেকে আত্মবলিদান দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা প্রদানকারী যুগপুরুষ নেতাজির প্রতিকৃতিও অবাঞ্ছিত মনে হয়! দেশ কোন পথে এগোচ্ছে ? আমাদের সমাজ থেকে আগামী প্রজন্ম কি শিখবে? বিসর্জনঘাটে সিসি ক্যামেরায় সংগ্রীহিত চিত্র থেকে আদৌ কি দোষীকে ধরা সম্ভব হবে? সে উদ্যোগ কেই বা নেবেন ব্যাস্ত সমাজে?
যদু মাহাতো জানান “ওনার মতো নেতার জন্যই দেশ আজ স্বাধীন হয়েছে । একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি আমার কর্তব্য করেছি মাত্র”।