বাড়ছে কাঁকরোল চাষ ! ঔষধি গুণে ভরপুর কাঁকরোলের জুড়ি মেলা ভার

Social

মলয় দে, নদীয়া :- মূলত ভারতীয় উপমহাদেশে কাঁকরোল চাষ দেখা যায়। প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ,ভিটামিন বি, প্রোটিন ,শ্বেতসার ,খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ উত্তর উপকারী এই ফল বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যবহার হয় রান্নার আনাজ হিসেবে।

বছরে একবার মধ্য এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে বীজ বা মোথা বপন করা হয় । মোথা বা বীজ লাগানোর ৩০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে ফুল ফোটে লতা জাতীয় কাঁকরোল গাছে। তবে অন্যান্য ফুল ফল গাছের মতো একই গাছের স্ত্রী এবং পুরুষ ফুল ফোটে না, এবং সি ও পুরুষ ফুল চোখে দেখে চেনা সম্ভব নয় । তাই চাষের ক্ষেত্রে, লিঙ্গ বিচারে মোথা লাগানোর সময় কৃষকরা আলাদা সারি ব্যবহার করেন, এবং সূর্য উদয়ের আগে কাকভোরে পরাগায়নের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হয় কৃষকদেরই। পরাগন এর ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ফল ধরে, এবং তার ১৫ দিনের মধ্যে ফল পরিপক্ক হওয়ার আগেই বাজারজাত করা হয় আনাজ হিসেবে। তবে অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা আছে, সবুজ হলুদ বা কমলা সম্পর্কিত বিষয়ে। আসামি মনিপুরী, মুকুন্দপুরী, মধুপুরী নানান প্রজাতির হওয়ার কারণে রং নানান রকম হয়ে থাকে এর সাথে কাঁচা বা পাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তবে বিভিন্ন ঔষধি গুনের মধ্যে, ঘামে দুর্গন্ধ নিবারনের জন্য কচি কাঁকরোল বাটা স্ক্রাবের জনপ্রিয়তা ইদানিং বাড়ছে ক্রমশ। আনাজ হিসেবেও ক্রমশ ব্যবহার বাড়ার কারণে চাষীরাও আগ্রহী হচ্ছেন এই চাষে।

Leave a Reply