নকল সোনার মুদ্রা কিনে প্রতারিত নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া আদিত্যপুরের এক ব্যক্তি

Social

অঞ্জন শুকুল, নদীয়া: নকল সোনার মুদ্রা কিনে প্রতারিত নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া আদিত্যপুরের এক ব্যক্তি। র্স্বর্ণমুদ্রা বলে পিতলের মুদ্রা দিয়ে প্রতারণা করে ঐ ব্যক্তির কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল । এলাকার বাসিন্দা প্রলয় কুমার রায় নামে ওই ব্যক্তি জেলা পুলিশের কাছে ঘটনার লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। ঘটনার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

প্রতারিত ব্যক্তি কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক অফিসের ম্যারেজ রেজিস্ট্রার । তার দাবি দিন কয়েক আগে অচেনা নম্বর থেকে এক ব্যক্তি ফোন করেন। ওই ব্যক্তি নিজেকে গৌর দাস বলে পরিচয় দেয়। সে জানায় আমি আপনার বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজ করেছি। ওই ব্যক্তি প্রলয় বাবু কে জানাই যে তার কাছে স্বর্ণমুদ্রা আছে। তার খুব টাকার প্রয়োজন সস্তায় সেগুলো বেচতে চাই। লোভনীয় প্রস্তাব পেয়ে প্রলয় বাবু রাজি হয়ে যান। বীরভূমের লাভপুর এলাকায় গিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করতে বলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু প্রলয় বাবু তাতে রাজি না হওয়ায় হাতিয়ার বাসিন্দা আদিত্য পুরের বাড়িতে চলে আসেন। প্রথমে বিশ্বাস অর্জনের জন্য একটা স্বর্ণমুদ্রা থেকে কিছুটা অংশ কেটে দেন। প্রলয় বাবু সোনার দোকানে পরীক্ষা করে দেখেন এটা অরজিনাল সোনা। সেই লোভেই তিনি এই সোনাটি কেনেন। তিনি আরো বলেন আমার পুরো বিশ্বাস হয়ে যায় এরপর যখন ওরা আরও ২১০ টি মুদ্রা বেচতে চাই আমি অতি বিশ্বাসে কোনরকম যাচাই না করেই দু’লক্ষ টাকা দিয়ে সেগুলো কিনে নিই । এরপর সমস্ত মুদ্রা অত্যন্ত গোপনে ঘরের মধ্যে লুকিয়ে রাখি ।কিন্তু সংবাদপত্রে রানাঘাট ও ব্যারাকপুরে একই রকম স্বর্ণমুদ্রার খবর প্রকাশিত হতেই আমি যাচাই করবার জন্যই ২১০ টি মুদ্রা সোনার দোকানে নিয়ে যায় । কিন্তু সোনার দোকানদার জানায় এগুলো সোনা নয় সবগুলোই পিতলের। আমি ভেঙে পড়ি এবং ব্যাপারটি নদীয়ার এসপির কাছে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। আমি যাতে ওই নকল মুদ্রা বিক্রেতার কাছ থেকে আমার অর্থ ফেরত পাই এটার জন্য আবেদন করেছি। তবে দ্বিগুণ লাভের আশায় আমার এই সর্বনাশ এটা মেনে নিতে দ্বিধা নেই ।

তবে কান পাতলে এটাও শোনা যাচ্ছে অতি লোভের জন্যই তিনি এই কাজ করেছেন যার ফল পেয়েছেন হাতে নাতে । এই জন্যই বলে অতি লোভে তাঁতি নষ্ট।

Leave a Reply