মলয় দে, নদীয়া:- হোম কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশন শব্দগুলি বর্তমানে খুব চর্চিত হলেও! জ্বরজারির জন্য ১৪ দিন একা থাকার রীতিনীতি আজকের নয়! ভারতীয় সভ্যতার একেবারে গোড়ার দিকেও এই নিদর্শন পাওয়া যায়! সুস্থ হওয়ার নিয়ম-নীতি থেকে রেহাই পান না স্বয়ং দেবদেবীরাও। গত ২৪ শে জুন অনুষ্ঠিত হয়েছে জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রার স্থান যাত্রা , জগন্নাথ দেবকে অবতীর্ণ হন বলে ভক্তদের বিশ্বাস! তাই তাঁদেরকে দুধ মধু ডাবের জল, ফলের রস নানা উপকরণ দিয়ে ১০৮ কলসি জল ঢেলে স্নান করান ভক্তরা! আর তার ফলেই আসে জ্বর।
শুধু স্থানীয় জগন্নাথ দেবের মন্দির নয়, খোদ পুরির মন্দিরের দরজাও ভক্তবৃন্দ দের জন্য বন্ধ থাকে এই চৌদ্দ দিন। তবে একমাত্র পূজারী নিত্য পূজা করেন বাইরে বসে, বিভিন্ন উপাদেয় পুষ্টিকর খাদ্য, জোলাপ , পথ্য এমনকি বিভিন্ন ভেষজ লতা ফুল পাতা শিকড় উদ্ভিদের নানা অংশের জ্বর নিরাময়ের ঔষধ হিসেবে সেবা দেওয়া হয়। অবশেষে আজ তাঁরা সুস্থ হয়ে প্রথম , দেখা দেন ভক্তবৃন্দদের।
আগামীকাল রাজকীয় বেসে, তারা উঠবেন রথে। ভক্তবৃন্দরা তারই সমাদর করে মেতে উঠবেন উৎসবে! জানালেন শান্তিপুর বাইগাছি মদন গোপাল মন্দিরের সেবাইত শচীনন্দন দাস মহারাজ , শান্তিপুর কলেজ মোড় জগন্নাথ মন্দিরের সেবায়িত ধ্রুবনারায়ন দেব গোস্বামী ।