মলয় দে, নদীয়া : ময়ূর তো অনেকেই দেখেছেন , তবে সাদা ময়ূর দেখেছেন কি ? নন্দন কানন থেকে এই প্রজাতির সাদা ময়ূর প্রত্যক্ষ করে এসে নদিয়ার শান্তিপুর শহর অন্তর্গত গোপালপুর অঞ্চলের বাসিন্দা উত্তম পাল সম্পূর্ণ নিজের শৈল্পিক প্রতিভার দ্বারা বানিয়ে ফেললেন বেশ কিছু সাদা ময়ূর ।
করোনা পরিস্থিতির আগে ছিলেন পেশায় তন্তু শিল্পী । সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতির পর তাঁতের বাজার একে বারেই বিধ্বস্ত । তবে তন্তু জীবি থাকাকালীন পরিকল্পনা করেছিলেন এই ধরনের শিল্পকর্ম করার কথা । কিন্তু আর্থিক দিক দিকে অনগ্রসর হবার ফলে কিছুতেই তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না এই কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পূর্ণ ভাবে নিয়োজিত করা । জন্ম সূত্রে মৃৎ শিল্পী পরিবারের মানুষ হবার কারণে ছোট খাটো শিল্প কর্মের অভিজ্ঞতা কিছুটা ছিল , কিন্তু বর্তমানে করোনা ও লক ডাউন পরিস্থিতির পর তার হাতের স্পর্শে সাদা ময়ূর থেকে শুরু করে সমস্ত শিল্প কর্ম গুলি একেবারে জীবন্ত হয়ে উঠেছে । সাদা ময়ূর ছাড়াও নীল ময়ূর , জোড়া নীল ময়ূর এবং সেখানে তাদের মাথার ওপর ফুল গাছে প্রজাপতি , সাধারণ ভাবে ফুলের ওপর বসে মধু আহরণে ব্যাস্ত প্রজাপতি , উরন্ত বক , রাজ হাঁস প্রভৃতির মত চিত্ত হরণকারী শৈল্পিক কর্মকাণ্ড । তবে কৃষ্ণ নগরের ঘূর্ণি ও কলকাতার কোন অঞ্চলেই এই ধরনের শিল্প কর্ম খুঁজে পাওয়া যাবে না সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন শান্তিপুরের উত্তম পাল । তিনি জানান পাইকারি দরে এই ধরনের প্রতি পিস জিনিসের মূল্য মাত্র তিরিশ টাকা । তবে রথ যাত্রার আগেই ময়ূর , বক , রাজ হাঁস , প্রজাপতি সবাই চলে যাবে কাঁচড়া পাড়া এবং কলকাতার কুমোর টুলিতে ।