মলয় দে, নদীয়া :- দীর্ঘদিন বন্ধ সমস্ত স্কুল-কলেজ! বাতিল হলো পরীক্ষাও, পরিবারে উপার্জনকারীরাও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কর্মহীন। অথচ স্কুলের মাইনে বৃদ্ধি! দীর্ঘদিন ইলেকট্রিসিটি, সাফাই, পরীক্ষার খরচ, সবকিছুই বন্ধ হয়েছে!
সোমবার নদীয়া জেলার শান্তিপুর মিউনিসিপ্যালিটি উচ্চ বিদ্যালয়ে একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ভর্তির প্রক্রিয়া চলছিলো। সেখানে গতবছরের মতই কলা বিভাগের ৬৮০ , ভূগোল বাদে ৬৩০, কমার্সে ৬৩৫, সায়েন্স ৭৭০ টাকা ধার্য্য করা হয়েছে এ বছরেও। কিন্তু বেশ কিছু ছাত্র অভিযোগ করে অন্যান্য বিদ্যালয়ের ভর্তি ফি অপেক্ষা তাদের বিদ্যালয়ে বেশি কেন? এই কারণে বিদ্যালয় মূলগেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
তাদের দাবি, বেশিরভাগ তন্ত্রজীবি পরিবারের ছাত্র। দীর্ঘদিন কাজ নেই পরিবার প্রধানের, সে ক্ষেত্রে অভিভাবকরা পেরে উঠছেন না আর্থিক দিক থেকে। অনেকে দাবি করে তারা নিজেরাই, পড়াশোনার খরচ জোগাড় করে কাজ করে, কাজ না থাকার কারণে দেবে কিভাবে! বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের বোঝাতে চেষ্টা করে লিখিত আবেদন জমা দেওয়ার জন্য , প্রধান শিক্ষক ড: কিংশুক চক্রবর্তী সাথে ফোনে কথা বলে ছাত্ররা, এরপর বিদ্যালয় এসে পৌঁছান পরিচালন সমিতির সভাপতি কৌশিক প্রামানিক ।
তিনি জানান, স্কুল ম্যাগাজিন আই কার্ড সরস্বতী পুজো ছাড়াও উন্নত পরিষেবার জন্য, নৈশ প্রহরী, কর্মচারী, বেশকিছু সহকারি শিক্ষক, চলে স্কুলের ফান্ড থেকে, করোনা পরিস্থিতিতে তাদেরকে তো আর বাদ দেওয়া যায় না! তবে আই কার্ড প্রস্তুত হওয়া সত্ত্বেও করো না পরিস্থিতির কারণে বিতরণ করা সম্ভব হয়নি, সরস্বতী পুজো ছাত্ররা নিজেরাই জানে, শুধুমাত্র শোভাযাত্রা বাদে সবটাই হয়েছে, তাদের নিজেদের প্রতিভা প্রকাশের জন্য ম্যাগাজিন অত্যন্ত জরুরী এ সময়। এরকম ধরনের বেশকিছু বিষয় বাদ দিলে, ভর্তির ফিস অনেকটাই কমে যাবে। তবে ওরা বাচ্চা ছেলে, ওদের অভিভাবকদের সাথে মিটিং করার পর, তাদের মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।