নিউজ সোশ্যাল বার্তা, ২রা ডিসেম্বর ২০১৯, মলয় দে নদীয়া:-বহু পূর্বে শান্তিপুর বড়বাজার অঞ্চলে পাটের গুদামে আগুন লেগে থাকতো প্রায়ই। সেই থেকে শুরু হয় ব্রহ্মা পুজো ।
আজ কিন্তু ব্রহ্মা নয, দমকলের জন্যই মূলত আগুনের হাত থেকে বেঁচে গেল পাঠের আড়ৎগুলি।
আজ দুপুর দুটো নাগাদ কালো একরাশ ধোঁয়া উঠতে দেখে এলাকাবাসী বালতি করে জল নেভানোর কাজ শুরু করে। শান্তিপুরের মধ্যেই ২০০৫ সালে গড়ে ওঠা ফায়ার স্টেশন থেকে কুড়ি মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যায় দমকল। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা অনুযায়ী, গুদাম গুলির পেছনে, পড়ে থাকা শুকনো পাতা, মাছ সংরক্ষণে ব্যবহৃত থার্মোকলের বাক্স, এবং পাটের অপ্রয়োজনীয় আঁশ, পবিত্র নানান রকম দাহ্য বস্তুর স্তুপে অসাবধানবশত কেউ হয়তো বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরো ফেলার ফলে হয়েছে ঘটনা।
এর আগে, যেকোনো অগ্নি সংক্রান্তঃ দুর্ঘটনার জন্য ফোন করে, জানানোর পর রানাঘাট ফায়ার স্টেশন থেকে দমকল পৌঁছানোর আগেই পুড়ে ছাই হয়ে যেত সবকিছু।
দমকল সূত্রে, এ কাজের জন্য গর্ব বোধ করলেও, আক্ষেপের কথা জানান উপযুক্ত সমস্ত পরিকাঠামো ঠিক থাকলেও, একটি দমকল গাড়ির একটিমাত্র চালক, গুটিকয়েক কর্মী নিয়ে কাজ করা বড়ই অসুবিধার। আগুন লাগার পর সাধারণ মানুষের প্রায়ই অভিযোগ থাকে দমকলের ভূমিকা নিয়ে। অথচ অনেকেরই জানা নেই, উপযুক্ত কর্মীর অভাবেই, বড় আগুন নেভানো, প্রায় অসম্ভব। দমকল বিভাগের আজকের ভূমিকায় খুশি এলাকার জনসাধারণ ।