নদীয়ায় বন্ধুতা প্রকল্প ! ব্যাংকের মাধ্যমে নাট্যকর্মীদের কাছে কৃষ্ণনগর সিঞ্চন এর সহযোগীতা পৌঁছল পাহাড় থেকে সাগর 

Social

সোশ্যাল বার্তা: নাটক নিয়ে শহরের সীমানা পেরিয়ে পাহাড় থেকে সাগর বিভিন্ন জেলার উৎসব ও নাট্য প্রতিযোগিতার মঞ্চে বছর ভর ছুটে বেড়ানোটা নাট্যকর্মীদের স্বাভাবিক জীবন। করোনা পরিস্থিতি বাধ সেধেছে সেই অভ্যস্ত জীবনে। অতিমারী কালীন বিধি নিষেধে বন্ধ প্রেক্ষাগৃহ । বন্ধ নাট্যদলের কার্যক্রম। আপন ঘরের আঙিনায় কাটছে নাট্যকর্মীদের বিষাদ কাল। আর যাঁরা অনেক কিছু ত্যাগ করে কেবল নাটককে পেশা করেছিলেন, বেছে নিয়েছিলেন ক্ষুন্নিবৃত্তির পথ হিসাবে, আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিয়েছিলেন নিত্য জীবনযাপনের সঙ্গে -তাঁদের অবস্থা আরও ভয়ংকর।

এইসব নাট্যকর্মীদের পাশে থাকার লক্ষ্যে নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের নাট্যদল সিঞ্চন গ্রহণ করল প্রকল্প ‘বন্ধুতা’। তাদের আহবানে সাড়া দিয়ে কৃষ্ণনগর শহরের নাট্য প্রেমী সুধীজনের পাশাপাশি এই কর্মসূচিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন দেশ-বিদেশের নাট্য-বন্ধুরাও। ‘পাহাড় থেকে সাগর সারা বঙ্গে/ কৃষ্ণনগর সিঞ্চন থিয়েটারের সঙ্গে’- এই স্লোগানকে হাতিয়ার করে তারা দার্জিলিং থেকে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা পশ্চিমবঙ্গের ২৩টি জেলার বেরোজগার হয়ে যাওয়া মোট ৭২ জন নাট্যকর্মীর একাউন্টে তারা পৌঁছে দিল নগদ অর্থ।

এছাড়াও সদ্য ঘটে যাওয়া ভয়ংকর সাইক্লোন ‘যশে’র ধাক্কায় বিপর্যস্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একটি নাট্যদলের পুনর্গঠনের জন্য অর্থ বরাদ্দ করল তারা। কর্মসূচিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে ও আরও বেশী শিল্পীদের কাছে সহায়তা পৌঁছে দিতে তারা বদ্ধপরিকর।

কৃষ্ণনগর সিঞ্চনের নির্দেশক সুশান্ত কুমার হালদার জানালেন, ” বিপর্যস্ত নাট্য শিল্পীদের তথ্য সংগ্রহের কাজে পাশে দাঁড়িয়েছেন বিভিন্ন জেলার বিশিষ্ট নাট্যজনেরা। সকলের সহায়তা ছাড়া এ কাজ আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না।”

দলের সম্পাদক সৌমেন বিশ্বাসের কথায়- “এই দুঃসময়ে সকলেই লড়াই করছেন। বাঁচার লড়াই । নাট্যশিল্পীরাও ব্যতিক্রম নয় । তাদের পাশে থাকার বার্তা পৌঁছে দিতেই কর্মসূচি।”

Leave a Reply