মলয় দে, নদীয়া :-স্বামী তেমন উপার্জন নেই! সংসার খরচ জোগানো বলতে একমাত্র চায়ের দোকান, তাও লকডাউনে বন্ধ। বর্ষায় ভাঙ্গা টালির চাল চুঁইয়ে জল পড়ে ঘরে। কোনদিনই গান শেখেনি বিপাশা দাস। ভাঙা খাটে শুয়ে, দুঃখে দু চোখের জল শুকায় না কখনো, তবে ঈশ্বর প্রদত্ত সুরেলা কন্ঠে, যখন গুনগুনিয়ে ওঠে অনেকেরই হৃদয় বিচলিত হয়।
সংসারের হাল ধরতে চায়ের কেটলি হাতে তুলে দিয়েছেন চাকদহ বিপাশাদেবী। তবে শত কষ্টের মধ্যেও নিজের প্রতিভাকে লুকিয়ে রাখতে নারাজ তিনি। প্রতিবেশীরাও আশাবাদী, তার কণ্ঠস্বর একদিন শুনবে সারা ভারতবর্ষ।
এর আগেও রানাঘাট প্ল্যাটফর্মে বাস করা রানু মন্ডল, সোশ্যাল মিডিয়ার ঝরে পৌঁছেছিল টলিউড থেকে বলিউড।
তাই আমাদের সংবাদমাধ্যমের দৌলতে যদি, অভাবের ছাইচাপা প্রতিভা যদি প্রকাশিত করে , একটু সম্মান এনে দিতে পারি। তাহলে বাংলার বিভিন্ন পথে প্রান্তে এইরকম অনেকেই অনুপ্রাণিত হতে পারেন।