দীপ রায়, নদীয়া : মানুষের চরম উদাসীনতা ও লোভের কারণে প্রকৃতি আজ ধ্বংসের মুখে। কিছু মানুষের সদিচ্ছার জন্যই এখনও প্রান ফিরে পাচ্ছে প্রকৃতির বিভিন্ন পশুপাখি কীটপতঙ্গরা।
লোভ না করে গাটের পয়সা খরচ করে কিভাবে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করা যায় তা করে নজির গড়লেন নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের নেদেরপাড়ার বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক বিতান চৌধুরী।
জানা যায়, কৃষ্ণনগরের নেদেরপাড়ায় ফেরি করে মাছ বিক্রি করছিলেন একজন মাছ বিক্রেতা। কিন্তু মাছের হাড়িতে কচ্ছপ দেখতে পান তিনি। দুটি কচ্ছপ ছিল যার একটির ওজন ১কেজি ১০০ গ্রাম ও অপরটির ১ কেজি ৪০০ গ্রাম । মাছ বিক্রেতার কাছ থেকে ২০০০ টাকা দিয়ে তিনি কিনে নেন এবং বনদপ্তরে ফোন করে পুরো বিষয়টি জানান বনদপ্তরের কৃষ্ণনগর রেঞ্জ অফিসে।
বনদপ্তরের কর্মীরা বিতান চৌধুরীর নেদেরপাড়ার বাড়ি থেকে ফ্ল্যাট সেল টারটেল প্রজাতির দুটি কচ্ছপ নিয়ে আসেন এবং বেথুয়াডহরী অভয়ারণ্যের মধ্যে সংরক্ষিত পুকুর আছে সেখানেই ছেড়ে দেন।
মাছ বিক্রেতা জানান “তিনি কচ্ছপ দুটো চিত্রশালী বাজারের আড়ত থেকে কিনেছেন “।
বিতান চৌধুরী জানান ” ২০১৩ সালেও এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল। ২০২১ সালে তার পুনরাবৃত্তি ঘটল। বন দপ্তরের কাছে আবেদন রাখছি বিভিন্ন আড়তগুলোতে নজরদারি বাড়ালে ভালো হয়”।
বনদপ্তরের মাধ্যমে জানা যায়, পুরো বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে তারা দেখছেন। যে অঞ্চল থেকে মাছ বিক্রেতা কচ্ছপ দুটো কিনেছিলেন সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারেন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ভর্তি এলাকা মাজদিয়া থেকে কেউ একজন নিয়ে এসেছিলেন। জেলার বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। বন দপ্তরের পক্ষ থেকে বিতান চৌধুরীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয় ।