মলয় দে, নদীয়া:- নদীয়ার নবদ্বীপের পার্শ্ববর্তী সমুদ্রগড়, নাদন ঘাট, ইসলামপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষকদের মধ্যে ছাতা বিতরণ করা হলো।
করোনার থাবায় বিশ্ব জুড়ে চলেছে লকডাউন। থমকে গিয়েছিলো বিশ্ব অর্থনীতির চাকা। বন্ধ হয়ে গেছিলো অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সব ব্যবসা-বাণিজ্য। তবে এই মারণ ভাইরাস কৃষি ও কৃষকদের থামাতে পারেনি। ক্ষেতের ফসলে কৃষকের মুখে হাসি ফোটে, স্বপ্ন বুনতে থাকেন আগামীর পথ চলার। এখানকার কৃষকেরা প্রখর রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অক্লান্ত পরিশ্রম করে ফসল উৎপাদন করে চলেছে। কৃষকের এই অক্লান্ত পরিশ্রমে ভরে ওঠে ফসলের সমারোহ। যা থেকে আমরা পাই ক্ষুধার অন্ন। কৃষি উৎপাদনে কৃষকের ভূমিকা অনেক বেশি।
তাই এবার কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে এদিন ছুটে এলেন পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের উত্তর শ্রীরামপুর প্রগতি নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। নদীয়ার নবদ্বীপের বেশ কিছু এলাকা এবং পার্শ্ববর্তী সমুদ্রগড়, নাদন ঘাট, ইসলামপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় মাঠে কাজ করা ৪০ জন কৃষকদের মধ্যে একটি করে ছাতা বিতরণ করা হলো।
এদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রগতি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মূল কর্ণধার পার্থ দে, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন পরিমল মন্ডল সহ সংস্থার অন্যান্য সদস্যরা। ছাতা পেয়ে খুশি দেখা গেল সেইসব কৃষকেরা যারা আজ মাঠে অক্লান্ত পরিশ্রম করে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে আমাদের অন্ন যোগাচ্ছেন।