সোশ্যাল বার্তা: গত ২৬ শে মে ইয়াস এর প্রভাব পড়েছিল দীঘা তাজপুর মন্দারমনি সহ একাধিক সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার গ্রামগুলিতে। আজ ৬ দিন কেটে গেলেও চরম উৎকন্ঠা ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে সমুদ্র তীরবর্তী কয়েক হাজার মানুষ। কারণ মাঠ-ঘাট এখনও সব জল থইথই অবস্থা।কারণ ওই দিন সমুদ্রের জল যে পরিমান প্রবেশ করেছিল এই গ্রামগুলিতে তা একেবারে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে তাদের বাড়িঘর থেকে শুরু করে পুকুর এমনকি মাছের ঝিলগুলো।
এখনো তাজপুর জলদা, চাঁদপুর এবং মন্দারমনি সহ একাধিক বহু গ্রামগুলিতে চরম বিপদজনক অবস্থার কারণ আজ ৬ দিন কেটে গেলেও জল পুরোপরি বের হয়নি এই সমস্ত গ্রামগুলি থেকে। কোথাও এখন হাঁটুজল অথবা রয়েছে কোমর জল, তবে এখনো বহু মানুষজন রাস্তার উপর ছোট ঝুপড়ি বাড়ি তৈরী করে দিন কাটাচ্ছেন। এখন গ্রামগুলিতে প্রবেশ করলে কেবলই দুর্গন্ধ আর দুর্গন্ধ। কারণ এলাকার বহু ঝিলের মাছ মরে পঁচে ভেসে উঠেছে। এরফলে এখন গ্রামগুলিতে কেবল পচা দুর্গন্ধ। ফলে কয়েকদিন পরেই বিভিন্ন রকম রোগ ছড়ানোর আশঙ্কাও রয়েছে, এমনটি মনে করা হচ্ছে।
তবে এই সমস্ত জলবন্দি মানুষের এখন রীতিমতো পেটে টান পড়েছে। একদিকে নেই রুজি-রোজগার পাশাপাশি বাড়ি ঘর থেকে শুরু করে কৃষিজমি সবেতেই এখন জল। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা আসছেন এই সমস্ত জল বন্দি মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে ত্রাণ নিয়ে।
কলকাতা হাওড়া সহ পূর্ব মেদিনীপুর পশ্চিম মেদিনীপুর এলাকার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই মুহূর্তে ত্রাণ নিয়ে তাদের পাশে দাড়াচ্ছেন। তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো আসছেন এই সমস্ত দুর্দশাগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে। তবে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার বহু মানুষদের এখন চরম সমস্যায় দিন কাটাচ্ছেন মূলত খাদ্য অভাবে। কারণ এই মুহূর্তে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের খাবারই এখন ভরসা যোগাচ্ছে এই সমস্ত দূর্গত বহু পরিবারের মানুষজনদের।
এইরকমই আজ হাওড়ার দাসনগর এলাকার এক মহিলা ব্যবসায়ী মায়া পাল আজ তাজপুর এলাকার ১০০০ দূর্গত মানুষকে তিনি তুলে দিলেন শুকনো খাবার। এভাবেই বহু সংগঠন আসছেন এইসমস্ত দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে তাদের সাধ্যমতো প্রচেষ্টা নিয়ে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরেজমিনে ঘুরে দেখেছেন দিঘা। দ্রুত গতিতে শুরু হয়েছে কাজ। কয়েকদিনের মধ্যেই হয়ত ছন্দে ফিরবে দেখা ।