সোশ্যাল বার্তা: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সংকেতের উদ্যোগে দীর্ঘ ও দুর্গম জলপথ পাড়ি দিয়ে সুন্দরবনের ঘোড়ামারা দ্বীপে পৌঁছালো ত্রান সামগ্রী।
জলের আর এক নাম জীবন। সেই জলই উপর্যুপরি দুর্যোগে নিশ্চিহ্ন করে দিতে বসেছে একের পর এক দ্বীপকে। ঘুর্ণিঝড়, বর্ষণ ও সামুদ্রিক দাপটে প্রায় তিরিশ হাজার বিঘের জনবসতিপূর্ণ ঘোড়ামারা দ্বীপ আজ পরিণত হয়েছে পাঁচ হাজার বিঘায়। ঘর-বাড়ি, ভিটে-মাটি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়ে যাওয়া অনেকেই দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে হাত তুলে বোঝানোর চেষ্টা করেন, যে উথাল-পাতাল জলরাশি দিয়ে ভেসে চলেছে জাহাজ-বোট-লঞ্চ, ওখানেই ছিল তাদের প্রিয় গ্রাম,সাধের ঘর-বাড়ি।
সম্প্রতি ইয়াস ঘুর্ণঝড়ের রুদ্রমূর্তিতে বিধ্বংসী জলোচ্ছ্বাস তছনছ করে ধুয়েমুছে সাফ করে দেয় হলদি নদী বেষ্টিত মুড়িগঙ্গার উৎসমুখে ঘোড়ামারা দ্বীপের বহমান জনজীবন।
কোলাঘাট সংকেতের পক্ষ হতে আজ সেই দ্বীপভূমির বিপদগ্রস্তদের প্রায় তিনশোটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল খাদ্য সামগ্রী। এর জন্য তাদের অতিক্রম করতে হয়েছে দীর্ঘ ও দুর্গম জলপথ। নিয়ে গিয়েছিলেন পাউরুটি, কলা, ডিম, বিস্কুট, চিঁড়ে, মিষ্টান্ন ইত্যাদি খাদ্য সামগ্রী।
সংস্থার পক্ষে ডাঃ শ্যামল আদক বলেন, -“আমরা সারা বছরই বহুমুখী প্রয়াসের মাধ্যমে অসহায় মানুষদের জন্য সীমিত সাধ্যে কাজ করে চলেছি। গত আমফানের পরও প্রায় দেড়মাস ধরে আমরা সাগরদ্বীপ সহ সুন্দরবনের কয়েকটি দ্বীপে বিপদগ্রস্থদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। এবারেও আমরা হাজির হয়েছি এই দ্বীপের সর্বশান্ত মানুষগুলোর দুর্বিসহ যন্ত্রণায় সমব্যথি হতে। “