প্রীতম ভট্টাচার্য : পাড়ার ছেলেটা রং তুলি নিয়ে আঁকছে সেদিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে গ্রামেরই স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়া হিরণ। শেষ পর্যন্ত হিরণও সামিল রং তুলি নিয়ে আঁকতে । তবে তাদের সহযোগীতায় রয়েছেন একটি সংস্থার সদস্যরা।
শহরের কোলাহল থেকে দুরে প্রান্তিক এক গ্রামের মাটির বাড়ির দেওয়াল। নাম বাগান পাড়া আদিবাসী গ্রাম।
জায়গাটা ঠিক বীরভূম এর প্রান্তিক স্টেশন থেকে নেমে কাছেই পারুলডাঙ্গা হাই স্কুলের ঠিক পিছন দিকে। একটি নির্মল মানুষ আর একরাশ নির্মল হাসি মেশানো সোঁধা মাটির গন্ধ মাখা একটি গ্রাম আর তার সাথে রং তুলি মিশিয়ে ছবি আঁকার এক নতুন প্রয়াস দিয়ে শুরু হলো নতুন বছর এর পথ চলা।
এই প্রসঙ্গে স্বাধীন গাঙ্গুলি জানান , ক্যানিং – সন্ধি এর পক্ষ থেকে এতো সুন্দর একটা প্রয়াস কে বাস্তবায়িত করতে আমায় একটা গোটা বছর অপেক্ষা করিয়েছিল এই ভয়ংকর মহামারী, যদিও সেই মহামারী এখনও সক্রিয়, তবুও তারই মাঝে দুটো দিন এর জন্য গিয়ে গ্রাম এর কঁচি-কাঁচাদের কে দিয়ে তাদেরই নিজের বাড়ির মাটির দেওয়ালে আঁকাআঁকি তাদেরকেই দিয়ে করাতে পারবো সত্যি সেটা ভাবাতিত”।
তিনি ক্যানিং সন্ধি”এবং এই গ্রাম এর প্রতিটা কচিকাঁচাদেরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয় ” প্রায় বছর খানেক ধরে করোনা মহামারীর জন্য শিশুদের বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ। শিশু মনতো আর বোঝে না করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা। তাই শিশুদের মানসিক ভাবে একটু আনন্দ দিতেই সংস্থার পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ।
গ্রামের শিশুদের নিয়ে এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।