পূর্ব মেদিনীপুর: প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ৷ তাই করোনা আবহে জমায়েতও নিষিদ্ধ করেছে সরকার ৷ ফলে জেলায় জেলায় হচ্ছে না রক্তদান শিবির৷ কোথায় আবার রক্তদান শিবিররের আয়োজন হলেও তেমন আশানুরূপ রক্তদাতা পাওয়া যাচ্ছে না। তারই জেরে জেলায় জেলায় ব্ল্যাড ব্যাংকগুলিতে দেখা দিয়েছে রক্তের আকাল৷ ফলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন থ্যালাসেমিয়া রোগীরা।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এই চিত্রটা ক্রমেই প্রকট , দেখা দিয়েছে রক্তের আকাল। এদিকে তীব্র দাবদাহ। আবার করোনার দাপট। সবমিলিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন থ্যালাসেমিয়া রোগী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। কাঁথি ও এগরা মহকুমা ব্লাড ব্যাংকে দেখা দিয়েছে রক্তের আকাল৷ রক্তের আকাল থাকায় থ্যালাসেমিয়া রোগীরা রক্তের আবেদন করলেও রক্তের অভাবে দিতে পারছেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ রক্ত না থাকায় থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জীবন সংশয় দেখা দিচ্ছে৷
এগরার এক থ্যালাসেমিয়া রোগীর বাবা বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট দিন অন্তর ছেলের দেহের রক্ত বদলাতে হয়৷ কিন্তু চারিদিকে রক্তের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরলেও মিলছে না রক্ত৷ এই অবস্থায় ছেলেকে বাঁচানোটাই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে৷’’ আরেক রোগীর আত্মীয় বলেন, ‘‘পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে মিলছে না রক্ত৷’’
রক্তের আকালের কথা মেনে নিয়েছেন কাঁথির ব্লাড ব্যাংকের এক আধিকারিক৷ তিনি বলেন ” করোনা সংক্রমন জেরে এখন কোনও রক্তদান শিবির কম হচ্ছে। তাই রক্তের আকাল দেখা দিয়েছে। রক্ত না থাকায় অনেক রোগীকে রক্ত দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠেনি৷’’ প্রসঙ্গত, করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ৪ সপ্তাহ কেউ রক্ত দিতে পারবেন না৷ কেউ রক্ত দিতে চাইলেও রক্ত নেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে ভিড় এড়ানোর কথা বলা হচ্ছে৷ ফলে তুলনামূলকভাবে জেলায় জেলায় রক্তদান শিবিরও হচ্ছে না৷
নিউজ সোশ্যাল বার্তার পক্ষ থেকে সবার কাছে আবেদন সবাই এগিয়ে আসুন রক্তদান করুন মুমূর্ষু রোগীর জীবন বাঁচান।