পূর্ব মেদিনীপুর : ২৫ শে বৈশাখ বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন ২বছর পূর্বেও গ্রামে, গঞ্জে, পাড়ায়, মহল্লায় জাকজমক পূর্ন ভাবে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী পালন করা হত। স্কুল, কলেজ সহ সর্বত্র মঞ্চ বেঁধে নাটক, গান, আবৃত্তি, আলোচনা সভার আয়োজন হত। রবীন্দ্র অনুরাগীরা ফুলে, মালায়, চন্দনের ফোটায় সাজিয়ে তুলত হৃদয়ের কবি-প্রানের কবি বরীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। শাঁখ বাজিয়ে, উলু ধ্বনীতে সাড়া পড়ে যেত সর্বত্র।
প্রতিবছরই রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীতে মহাসমারহে সামিল হত নিমতৌড়ী তমলুক উন্নয়ন সমিতির হোম আবাসিক ও দিব্যাঙ্গজনেরা। গানে, কবিতায়, আলেখ্যে ক্যাম্পাসের আবাসিক থেকে কর্মীরা সকলেই মেতে উঠত এই দিনে। গত বছর করোনা ভাইরাস থাকার জন্য সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এই দিনটি পালন করা হলেও এবছর কোভিড পজিটিভ থাকার জন্য এক্কেবারেই স্বাস্থ্য বিধি মেনে শুধুমাত্র দৃষ্টিহীন ছাত্রছাত্রী আর কর্মীরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আবক্ষয় মূর্তিতে মাল্যদান করল রবীন্দ্র উদ্যানে। রবীন্দ্র সংগীত গেয়ে উঠল দৃষ্টিহীন কাকলি আর প্রিয়াংকারা। উপস্থিত ছিল সংস্থার সাধারন সম্পাদক যোগেশ সামন্ত, দেবশ্রী ত্রিপাঠী ব্যানার্জী, রবীন্দ্র নৃত্য শিক্ষিকা রূপশ্রী মান্না, ঈশিতা জানা, সুদেষ্ণা মাইতি, শিক্ষিকা সুমৌ মান্না, মহুয়া মাকড় ও মধুমিতা বেরারা। অনাড়ম্বরপূর্ন হলেও ভক্তি শ্রদ্ধা ছিল হৃদয়ে। দৃষ্টিহীন সৌরভ মাইতি, সোমাশ্রী ভৌমিক, বিক্রম চক্রবর্ত্তীরা জানান এই দিনটা খুব মনে পড়ে সকাল থেকে ব্যস্থতা কখন বিকেল হয় ফুলে, মালায় সাজিয়ে তুলতাম আমাদের প্রানের কবিকে তারপর গান-বাজনা, নাটক-আলেখ্য আলোচনা সভা আরো কত অনুষ্ঠান সব যেন ম্লান হয়ে গেছে করোনা ভাইরাসের জন্য।
জানিনা আবার কবে আমরা সবাই সমবেত হয়ে পালন করতে পারব রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী। হোমের সাধারন সম্পাদক জানান নিরুপায় হয়ে খুব সীমিত করে স্বাস্থ্য বিধি মেনে এবছর রবীন্দ্র জন্ম জয়ন্তী পালন হলেও কবির প্রতি মনের টান শ্রদ্ধা ছিল গভীর। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার আমরা কবিকে স্মরন করব জাক জমক পূর্ন ভাবে কবির জন্ম দিন পালন করার অপেক্ষায় থাকলাম আমরা সবাই। এখন আামদের সবার একটাই লক্ষ্য হোক করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে করোনা কে পরাজিৎ করতে মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহারের সাথে সাথে শারিরীক দুরত্ব বজায় রাখব।