মলয় দে নদীয়া :- আবারো সেই শান্তিপুর রেল স্টেশন! আপ ৮ .৪৫ শান্তিপুর লোকাল। কিছুদিন আগে উদ্ধার হওয়া সদ্যোজাত শিশুর মতই দুই কিশোরীকে সহৃদয় রেল যাত্রী এবং সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের সহযোগিতায় উদ্ধার হলো দুই নাবালিকা।
নদীয়ার শান্তিপুর থানার মোড়ে দুগ্ধ ব্যবসায়ী, এবং হবিবপুর থেকে ট্রেনে ফিরছিলেন শান্তিপুরে। তারাই প্রথম লক্ষ্য করেন, ওই দুই নাবালিকা কিশোরীর অস্বাভাবিক আচার-ব্যবহার কথাবার্তা এবং ভয় জড়ানো দুচোখ! এরপরে আরপিএফ এর হাতে তুলে দেন তারা। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আরপিএফ এর প্রধান অফিস রানাঘাট মারফৎ ওই দুই কিশোরীকে একটি সরকারি হোমে পাঠানো হয় আরপিএফ এর পক্ষ থেকে।ঐদুই কিশোরী ভয় এবং সংকোচে সঠিক তথ্য দিতে পারলেও তারা জানায় ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের কাছে একটি গ্রামে তাদের বাড়ি, যার মধ্যে একজনের বাবা বিয়ে দেওয়ার জন্য জোর করে থাকে প্রায়ই, এবং অন্য আর এক জনের মা অন্যের বাড়িতে পরিচারিকার কাজের জন্য জোরাজুরি করার অভিমানে দুজনে পালিয়ে এসেছে।
নদী পার হয়ে কালনায় মাসির বাড়ি এবং নৈহাটিতে এক মাসির বাড়িতে যেতে চায় তারা তবে বাড়ি ফিরতে চায় না! ইতিমধ্যে সংবাদমাধ্যমের লাইভ প্রচার মোবাইলে প্রচুর শেয়ার হওয়ার কারণে, এর দুনিয়ায় ভাইরাল হয়।
তা দেখেই ওই কিশোরীর দাদা সংবাদমাধ্যমের অফিসে ফোন করে জানায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কোস্টাল থানার অন্তর্গত কালিনগর তিলক চন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা পিংকি দাস তার বোন, পাশের বাড়ির একটি মেয়ের সাথে কোথাও চলে গেছে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কাজের সুবাদে কেরালায় থাকা নাবালিকার দাদা ওই যুবক আজ আরপিএফ এর সাথে যোগাযোগ করেছে বোন এবং প্রতিবেশী আরেকজনকে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে। সরকারি নিয়ম নীতি মেনেই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে ওই দুই কিশোরীকে বলেই জানা যায় আরপিএফ সূত্রে।