মলয় দে, নদীয়া:- ১৬৭৬ শকাব্দ তথা ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে এই শ্রীনিবাস তৈরী বলে মনে করে থাকেন ঐতিহাসিকরা। বর্গীদের হাত থেকে নদীয়ার রাজধানী কৃষ্ণনগরকে রক্ষা করতে, তৎকালীন নদিয়ারাজ কৃষ্ণচন্দ্র তার রাজধানী কৃষ্ণনগর থেকে সরিয়ে মাজদিয়া স্থানান্তরিত করেন। কৃত্রিম একটি খাল কেটে ইছামতি এবং চূর্ণী নদী কে জুড়ে জনপদ দ্বারা বেষ্টিত করেছিলেন রাজধানী রক্ষার্থে। সেই খাল আজও কঙ্কণা নদী নামে পরিচিত। সে সময় তিনি একটি রাজপ্রাসাদ এবং কয়েকটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন যার মধ্যে রাজরাজেশ্বর নামে একটি মন্দির আজও রয়েছে, বাকিগুলি অবশ্য ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে! চুরা সমেত একশো কুড়ি ফুট উচ্চতার এই মন্দির অনেকটা গির্জার আদলে তৈরি।
মন্দিরের ভেতরের শিবলিঙ্গটি ১১ ফুট ৯ ইঞ্চিবেড় ৩৬ ফুট। ভক্তবৃন্দরা সিঁড়ি দিয়ে উঠে জল ঢালার বাংলার রীতি রয়েছে। এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় শিবলিঙ্গ বলেই জানেন সকলে। সেই সময় কৃষ্ণচন্দ্র রাজা অগ্নিহোত্রী বাজপেয়ি যঞ্জ সম্পন্ন করেছিলেন, কাশি থেকে ধর্মীয় পুরোহিত পণ্ডিতরা এসে এই মন্দির দর্শন করে, আপ্লুত হয়ে ছিলেন, স্বীকৃতি দিয়েছিলেন কাশির সমতুল্য ধর্মীয় গুরুত্ব। সেই থেকে সারা পৃথিবীতে স্বনামধন্য এই শ্রীনিবাস।