সোশ্যাল বার্তা : করোনা পরিস্থিতির জেরে লকডাউনের সময় থেকে ব্লাড ব্যাংকগুলোতে রক্তের জোগান কমে যেতে থাকে। রক্তের জোগান দিতে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এগিয়ে আসে। বর্তমানে শুরু হচ্ছে গরম এবং সামনে বিধানসভা নির্বাচন ফলে রক্তের সংকট বাড়বে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল । রক্তের চাহিদা মেটাতে এগিয়ে এল নদীয়া জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকার গেদে সম্মিলনী হাই স্কুল। বুধবার অনুষ্ঠিত হলো রক্তদান শিবির ও ফ্রী থ্যালাসেমিয়া বাহক নির্ণয় শিবির ।
উদ্যোক্তাদের মধ্যে একজন জানান “হটাৎ করেই বেড়েছে গরমের দাপট, তার সাথে চারিদিকে ভোটের দামামা ফলে রক্তদান শিবিরের সংখ্যা কমেছে । কিন্তু থ্যালাসেমিয়া বাচ্চা সহ সকল মুমূর্ষু রোগীর কথা মাথায় রেখে রক্তদান শিবিরের আয়োজন।”
এই রক্তদান শিবিরের দায়িত্বে ছিলেন গেদে সম্মিলনী হাইস্কুল প্রাক্তনীরা । পুরুষ মহিলা সহ ৪৫ জন রক্তদান করেন ।
থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে নদীয়া জেলা থ্যালাসেমিয়া কন্ট্রোল ইউনিট এর সহযোগিতায় থ্যালাসেমিয়া বাহক নির্ণয় শিবির করা হয়। ৯২ জনের থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা করার জন্য রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
এছাড়া এই লকডাউন সময় কালে দাড়িয়ে যারা ইমারজেন্সি ব্লাড ডোনেট করেছেন, তাদেরকে ইচ্ছেপূরণ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে করোনা যোদ্ধা সম্মানে সম্মানিত করা হয়। এছাড়াও রুটি ব্যাঙ্ক, ইমারজেন্সি ব্লাড সার্ভিস মানুষের পাশে যেভাবে দাড়িয়েছে তাদের কে সম্মানিত করা হয়। ব্লাড ব্যাংক এর সমস্ত কর্মী কে করোনা যোদ্ধা সম্মান দেওয়া হয়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, “এই উদ্যোগ খুবই মহৎ। যারা স্ব-ইচ্ছায় রক্তদান করেছেন তাদের অভিনন্দন জানাই, আমার যে সকল ছাত্র-ছাত্রী দায়িত্ব নিয়ে এই কাজটি করেছে তাদের জন্যে গর্বিত।”
নবদ্বীপ ব্লাড সেন্টারেে একজন কর্মী জানান, “এই বর্ডার এরিয়াতে একটি রক্তদান শিবির করতে পেরে আমরা খুব খুশি, এতজন মানুষ যে নিজের ইচ্ছে তে রক্তদান করেছেন তাদেরকে অভিনন্দন, গেদে সম্মিলনী হাই স্কুল কে অভিনন্দন ও ভালোবাসা, তারা এভাবেই এগিয়ে চলুক।