নিউজ সোশ্যাল বার্তা: আজ ‘বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচারস এসোসিয়েশান’ এর করা আদালত অবমাননা সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি হয় হাই কোর্টে জাস্টিস এস বি শরফ এর বেঞ্চে। আগের হেয়ারিং এ বিচারপতি শরফ রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করছিলেন এই মর্মে যে গ্র্যাজুয়েট টিচারদের টিজিটি স্কেল মিটিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ভিত্তিতে পে কমিশন কি ব্যবস্থা নিয়েছে। গত হেয়ারিং এ সরকার পক্ষ জানান যে পে কমিশন এই টিজিটি সংক্রান্ত কাজে ভীষণ ভাবে ব্যস্ত, তাই তাদের আরো এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হোক। মাননীয় বিচারপতি তা মঞ্জুর করেন। এক সপ্তাহ পর আজ শুনানি হলে সরকারের তরফে জানানো হয় ঐ একই বিষয়ে রাজ্য অর্থ দপ্তর ও পে কমিশনের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে। সরকারী উকিল এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য শেষ বারের মত আরো দু সপ্তাহ সময় প্রার্থনা করেন। বিজিটিএ,র পক্ষে উকিল বাবুরা তীব্র বিরোধিতা করেন। শেষ পর্যন্ত মহামান্য বিচারক শেষ রারের মত সরকার পক্ষ কে এক সপ্তাহ সময় দেন। তিনি আগামী শুক্রবার এই মামলাটি পুনরায় শুনবেন বলে জানিয়ে দেন।
বিজিটিএ সাধারণ সম্পাদক শ্রী সৌরেন ভট্টাচার্যের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আজকের হেয়ারিং এ আর একবার প্রমানিত হল যে বিজিটিএ তাদের ন্যায্য দাবীর জন্য লড়ছে। মহামান্য হাইকোর্টের উপর আমাদের পুর্ন আস্থা আছে,শেষ পর্যন্ত জয় আমাদের-ই হবে কেন না আমরা আইনের বাইরে কিছু দাবী করছি না।” বাঁকুড়া জেলা বিজিটিএ’র সম্পাদক শিক্ষক শ্রী অভিজিৎ দাস বলেন,” সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের ব্যাপার এই যে কোর্টের রায় যাতে সরকার মানে তার জন্য বিজিটিএ কে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে হচ্ছে। আইন আইনে পথে চলবে, কিন্তু বিজিটিএ ডিসেম্বরে আবার আরও বৃহত্তর ভাবে রাস্তায় নামবে। আমরা শুধু এই মাসটা অপেক্ষা করছি মুখ্যমন্ত্রী কি ভূমিকা নেন সেটা দেখার জন্য।”