মলয় দে নদীয়া:- মাঝখানে শুধু কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা, রাত পোহালেই নদীয়ার মাটিতে মা মাটি মানুষের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই নিয়ে একদিকে যেমন সজাগ প্রশাসন অন্যদিকে ব্যস্ত দলীয় নেতৃত্ব।
তবে অন্যবারের মতো একই মঞ্চে নয়, পাশাপাশি আরেকটি একই রকম মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে, স্থানীয় বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের বসার জন্য। মূলমঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে থাকতে পারে রাজ্যে নেতৃত্ব এবং জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার জন্য মূল চারটি , পথ ব্যবস্থা থাকলেও বেশ কয়েকটি এমার্জেন্সি প্রবেশদ্বার এর ব্যবস্থা করা হয়েছে অতিরিক্ত ভিড় সামাল দেওয়ার কারণে। স্থানীয় রক্ষণাবেক্ষণ করা নেতৃত্ব সূত্রে জানা যায় দেড় লক্ষ ভলেন্টিয়ার কার্ড বিতরণ হয়ে থাকলেও, সংখ্যাটা বেশকিছু বাড়তে পারে। দুই স্টেজের সামনে মাটিতে চট পেতে প্রায় অর্ধেক অংশ বসানোর ব্যবস্থা, এবং বাকি অংশে শেয়ার পাতা হয়েছে। শক্ত বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে, লম্বালম্বিভাবে মূল প্রবেশদ্বার এর সমন্বয়ে ছটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। সভাস্থলের বাইরে প্রাথমিক চিকিৎসা, পানীয় জল, অনুসন্ধান বিভাগ, পুলিশি সহায়তা কেন্দ্র এবং বেশ কিছু বিধানসভা ভিত্তিক টেন্ট তৈরি করা হয়েছে আগত কর্মী-সমর্থকদের সুবিধার্থে । দমকল এবং অ্যাম্বুলেন্সও মজুদ থাকছে।
৩৪নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বেশ কয়েকটি খোলা জায়গায়, বাস, ম্যাটাডোর, ট্রেকার, অটোর মত যানবাহন পার্কিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থানীয় রানাঘাট থানার বিশেষ ব্যবস্থা বাদেও, ডিআইবি, সি আই, জেলা পুলিশ , রাজ্য পুলিশ এবং গোয়েন্দা দপ্তরের বাড়তি ব্যবস্থা থাকছে এই সভাকে ঘিরে। বিগত এক মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জনমুখী বিভিন্ন প্রকল্প সাধারণের মধ্যে কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে, এই সবের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রীর পদার্পণ নদীয়ায়। অদূরেই ভোটকে কেন্দ্র করে কি নির্দেশ দেবেন দলীয় কর্মী সমর্থকদের! একাধিকবার নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল মিটিয়ে ফেলার জন্য নেতা-নেত্রীদের বার্তায় বা কতটুকু মেনে চলেছেন তারা! পুরনো তৃণমূল কর্মীরাই বা কতটুকু সম্মান পেলেন দলের কাছে! জেলায় ক্রমবর্ধমান বিজেপির বাড়বাড়ন্ত জন্য কি টোটকা দেবেন তিনি! প্রতীক্ষায় সকলে! মাঝে শুধু রাত টুকু বাকি।