নদীয়ায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় স্মরণে রঙ্গপীঠ নাট্য মেলার শুভ উদ্বোধন করলেন তাঁরই কন্যা পৌলমী বসু

Social

মলয় দে,নদীয়া :- বড় মঞ্চে ফিরলো শান্তিপুরের থিয়েটার ৷ করোনার কারনে বাতিল হয়ে গিয়েছিলো সমস্ত অনুষ্ঠান ৷ দীর্ঘ বন্দীদশা কাটিয়ে আবার ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে দেশ ৷ তাই ছন্দ ফিরে পেলো থিয়েটারও ৷ স্বভাবতই খুশি নদীয়া জেলার শান্তিপুরের নাট্যমোদী মানুষ ৷

১৭ই ডিসেম্বর বৃহস্পতিবা নদীয়ার শান্তিপুরে শুরু হলো ১৭তম রঙ্গপীঠ জাতীয় নাট্য মেলা ৷ তবে এবারে জৌলুস কিছুটা কম থাকলেও আন্তরিকতার অভাব ছিলো না৷ আজ সন্ধ্যায় নাট্য মেলার উদ্বোধন করেন প্রখ্যাত অভিনেতা, নাট্যকার, কবি, প্রাবন্ধিক, কন্ঠশিল্পী সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সুযোগ্য কন্যা এবং বিশিষ্ট নাট্যাভিনেতা, নির্দেশক পৌলমী বসু ৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান যেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় স্মরণ অনূষ্ঠানে পরিনত হয় ৷ মঞ্চে প্রত্যেকেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে স্মরণ করে নিজেদের বক্তব্য পেশ করেন ৷

নাট্যমেলার শুরুতেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে স্মরণ করে নৃত্যানুষ্ঠান পরিবেশন করে উপাসনা নৃত্য সংস্থার শিল্পীবৃন্দ ৷ এরপর শান্তিপুর মরমীর প্রতিমা মজুমদার, বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী সোহিনী মুখার্জী, নৃত্য শিল্পী অর্পিতা মুখার্জী, সৌমিত্র কন্যা পৌলমী বসুকে সম্মান জ্ঞাপন করা হয় ৷ বাবার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে পৌলমী দেবী জানান যে, অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সাথে তাঁর অভিনয় করতে কখনো ভয় করতো না ৷ বরঞ্চ তাঁর সময়ানুবর্তিতা, পুরো সময় নাটকের মধ্যে থাকা, সহকর্মীদের উৎসাহিত করা দেখে তিনি নিজেও অবাক হয়ে যেতেন ৷

রঙ্গপীঠ নাট্যমেলার অন্যতম প্রধান বিশ্বজিত বিশ্বাস জানান যে, নাট্যমেলা আদৌ করা সম্ভব কিনা সেকথা ভেবে তাঁরা খুবই দূশ্চিন্তার মধ্যে ছিলেন ৷ অবশেষে নাট্যমেলা শুরু হওয়ায় তাঁরা খুশি বলেই জানান বিশ্বজিতবাবু ৷

Leave a Reply