দূর্গার ডানদিকে লক্ষীর পাশে কার্তিক, বামদিকে সরস্বতীর পাশে গণেশ, ৩০০ বছর ধরে পূজিত হয়ে আসছেন চৌধুরী পরিবারের মা দূর্গা

Social

সোশ্যাল বার্তা : দূর্গার ডানদিকে লক্ষীর পাশে কার্তিক, বামদিকে সরস্বতীর পাশে গণেশ এমনই করে ৩০০ বছর ধরে পূজিত হয়ে আসছেন নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের চ্যালেঞ্জ মোড়ের চৌধুরী পরিবারের মা দূর্গা । ৩০০ বছরের আগে বতর্মান বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় কিশোরী মোহন চৌধুরী এই পুজোর প্রচলন করেন । সেই সময় তাঁরা শেঠ উপাধি পেয়েছিলেন অনেকে তাই শেঠ বাড়ির পুজোও বলতেন। পরবর্তীকালে পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশ থেকে ভারতের চলে আসেন। জেলা এবং জেলার বাইরে বিভিন্ন শহরে বতর্মানে তাঁদের শরিকেরা বসবাস করেন।

বর্তমান আট শরিক নিজেদের মধ্যেই প্রতিবছর পুজোর দায়িত্ব নেন একক পরিবার হিসেবে তাই এবছরে কৃষ্ণনগরে বসবাসকারী চৌধুরীর পরিবার মায়ের পুজোর দায়িত্বে, ঠিক আট বছর বাদে অর্থাৎ আবার ২০২৮ সালে তাঁদের বাড়িতে আবার পুজিত হবেন মা। মাঝখানে অন্যান্য বছরগুলিতে বিভিন্ন শরিকের বাড়িতে পুজো উপলক্ষ্যে অন্য শরিকদের যাওয়া-আসা যোগাযোগ বজায় আছে নিজেদের মধ্যে।

প্রতিমার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে লক্ষীর পাশে গণেশ সরস্বতীর পাশে কার্তিক নয়, বরং উল্টো ভাবে লক্ষীর পাশে কার্তিক এবং স্বরস্বতীর পাশে গণেশ অবস্থান করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে জানা যায় বাংলাদেশে প্রথম পূজিত হওয়ার সময় ঠাকুরদালানে মৃৎশিল্পী রামপাল ঠাকুর বানাতেন বেশ কিছুদিন সময়ধরে। সেই সময়ের মধ্যেই একদিন মন্দিরের মধ্যে দুটি ছেলেকে খেলা করতে দেখেন ঠাকুরদালানে। পরের দিন সকালে এসে দেখেন এই উল্টো অবস্থান অন্যদিকে ছেলেদুটোকে আর কোনদিন দেখতে পাননি! সেই থেকে লোকাচার চলে আসছে এইভাবেই। গতকাল পরিবারের পক্ষ থেকে দেবীকে গহনা পরানো হয় ও রীতি মেনে হয় মনসাপুজো ।

Leave a Reply