মলয় দে, নদীয়া:- করোনা মোকাবেলায় সচেতনতা বৃদ্ধি করতে প্রশাসন থেকে রাজনৈতিক, ধর্মীয় থেকে সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সংবাদ মাধ্যম থেকে শুরু করে পণ্যের বিজ্ঞাপন সর্বত্র জোরালো বার্তা সচেতনতার। তবুও রাস্তায় বেরোলেই, মাস্ক বিহীন মানুষের সংখ্যাই বেশি। কারো অবশ্য, গলায় ঝুলছে কারো বা পকেটে কেউবা ভুলে গেছেন আনতে! কিন্তু আমাদের ক্যামেরায় ধরা পড়লো এক অদ্ভুত চিত্র! যাদের চাল চুলো , ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স শিক্ষাদিক্ষা সমাজে পরিচিতি এমনকি আশ্রয়টুকু পর্যন্ত নেই! নেই শারীরিক সক্ষমতাও । তাই পেটের তাগিদে বেড়িয়েছেন ভিক্ষা করতে । নিজেরাই তাদের মতন করে বুঝেছেন , ” কি একটা বেরিয়েছে! হাওয়ার দোষ। করোনা না কি একটা নাম যেনো! তাতে মরে যাচ্ছে অনেক মানুষ! তাই মুখ ঢেকে মানুষের মাঝে যেতে হবে। ভিক্ষার অর্থ থেকেই দশ টাকা করে তিনটি মাস্ক কিনে দৃষ্টিহীনঅনিতা বিশ্বাস বাকশক্তিহীন স্বামী সুমন্ত বিশ্বাস এবং ছেলেমেয়ে বিতাড়িত সত্তরোর্ধ্ব বিধবা পিসি কে নিয়ে বেরিয়েছেন খাবারের সন্ধানে। আগে যেতেন ট্রেনে, ট্রেন বন্ধ হওয়ার পর রাস্তার পাশের দোকানগুলোই ভরসা তিনবার আহারের। ভিক্ষাবৃত্তি পেশায় সংখ্যাধিক্য হওয়ার কারণে অধৈর্য ব্যবসাদাররা সপ্তাহে একদিন রবিবারের ব্যবস্থা করেছেন নিজেদের সুবিধার জন্য। এনারা অবশ্য রাস্তার পাশে ভিক্ষা করতে আসাদের মধ্যে প্রথম তাই নিয়মকানুন অতটা জানেন না! ফলে ফেরত আসতে হচ্ছে বেশ কিছু দোকান থেকে । তবে পূণ্য লাভের আশায় বা মানবিকতার কারণে কিছু ক্রেতাশূন্য দোকানে কিন্তু ফিরতে হচ্ছে না তাদের।
বংশমর্যাদা, শিক্ষাদিক্ষা, সামাজিক প্রতিষ্ঠা কিছুই নেই যাদের! তারাও অন্নদাতা দোকানদার তার সামনে ভিড় করে থাকা ক্রেতাদের কথা ভেবে মুখে মাক্স পড়েছেন! অথচ সুশীল সমাজের বিশিষ্টজন আমরা পরিবেশ সচেতনতা আর বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ার স্ট্যাটাসে, ডিপিতে মুখবন্ধ পরা ছবি লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি খালি মুখেই।