মলয় দে, নদীয়া :- নষ্টচন্দ্রর রাত হোক বা মহালয়ার আগের রাত ! একসময় অন্যের ফসল না বলে চুরি করা, ধর্ম না বোঝা আধুনিক প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছে মজা হলেও, বর্তমানে চাষীদের সর্বস্বান্ত হওয়ার মতো জঘন্য ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের বাগআঁচড়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত লক্ষ্মীনাথ পুর গ্রামে।
মহালয়ার আগের দিন রাতের অন্ধকারে একাধিক চাষির কয়েক হাজার টাকার সবজি কেটে নষ্ট করে দেওয়ার দৃষ্টান্ত ধরা পড়ল।
এখানকার চাষীদের চাষ করে যা উপার্জন হয় তাই দিয়ে সংসার চালায় তারা।পুরোপুরি চাষের উপরে নির্ভর করে থাকতে হয় সারা বছর। অভিযোগ তাদের চাষের জমির ফলন্ত কলাগাছ, পেঁপে গাছ কেটে দিয়ে যায়। শুধু তাই নয় পটল থেকে শুরু করে কুমড়ো সহ একাধিক সবজি নষ্ট করে দেয় । এক দুজনের নয় ওই গ্রামের প্রায় আট দশজন চাষির হাজার হাজার টাকার সবজি নষ্ট করে গেছে। পটলের মাচা তৈরি করার নগদ টাকায় কেনা পাটকাঠির বোঝায় আগুন ধরিয়ে দেয়।আগামী দিনে কিভাবে সংসার চালাবে না তাই বুঝে উঠতে পারছে না তারা। অবশেষে অসহায় হয়ে চাষিরা শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে কে বা কারা এ ধরনের কাজ করেছে জানা না থাকলেও ধর্মীয় কু প্রথার ব্যাপারে সকলেরই জানা। তবে এ বিষয়ে দীর্ঘদিন পূজার সাথে যুক্ত ধর্মীয় বিভিন্ন বিধানদাতা দেবব্রত চক্রবর্তী জানান “অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা, যারা ধর্ম সম্পর্কে কিছুই জানেনা সেই রকম কিছু মূর্খ এ কাজ করেছে। তবে এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।” কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে প্রশাসনের তরফ থেকে। কৃষকরা আক্ষেপের সুরে বলেন রোদ জল ঝড় উপেক্ষা করে
সন্তানসম প্রতিপালন করা ফসল ক্ষতি করা কোন ধর্মীয় কোন বিধানের মধ্যে পড়ে জানিনা! প্রশাসনিক কোনো ব্যবস্থা হবে কিনা জানিনা! তবে সংবাদের মাধ্যমে সকলের কাছে পৌঁছানোর পর গ্রামে গ্রামে আমাদের মত হতভাগা চাষির সর্বস্বান্ত হওয়ার করুণ আর্তনাদে এই সর্বনাশা কুপ্রথার বিলোপের জন্য যদি জনমত গড়ে উঠে, তাহলে হয়তো আমাদের মত আর কোন চাষীর চোখের জল ফেলতে হবে না।