মলয় দে নদীয়া:- তিনি ছোটবেলা থেকেই গোপালের ভক্ত। বাড়িতে রয়েছে গোপালের বিগ্রহ। নদীয়ার শান্তিপুরের নিশ্চিন্তপুরের বাসিন্দা রিম্পা পালকে নিজের পড়াশুনার সূত্রে শান্তিপুর ছেড়ে থাকতে হয় কল্যাণীতে। স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পাওয়ার পর আগামী দিনে পিএইচডি করার লক্ষ্যে এগোচ্ছেন রিম্পা পাল। কল্যাণীতে একটি মার্বেল কারখানা থেকে তিনি কুড়িয়ে পেয়েছিলেন গোপালের একটি বিগ্রহ।সেই বিগ্রহ নিয়ে এসে গোপালের অঙ্গরাগ করানোর পর এবারের রাস পূর্ণিমাতে গোপালকে প্রতিষ্ঠা করেছেন বাড়িতে। শান্তিপুরের ভাঙ্গারাসের শোভাযাত্রায় সেই গোপাল বিগ্রহ নিয়ে নগর পরিক্রমায় বেরোনোর ইচ্ছে ছিল। তার জন্য শান্তিপুর থানা কর্তৃপক্ষ এবং বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামীর কাছে গিয়েছিলেন। নগর পরিক্রমাতে বের হওয়ার অনুমতি জোগাড় করেছিলেন নাছোড়বান্দা বায়নাতে।গোপালের সেবিকা হিসাবে ভ্যানে করে গোপালের বিগ্রহ নিয়ে বেরিয়েছিলেন নগর পরিক্রমাতে। এবারের ভাঙ্গারাসের শোভাযাত্রায় করোনা পরিস্থিতির কারণে রাইরাজা অনুমতি ছিল না। কিন্তু রিম্পা পালকে দেখে অনেকেই ধারণা করেছিলেন রাইরাজা বেরিয়েছে।
রিমপা পাল অবশ্য নিজেই জানিয়েছেন,’রাইরাজা বা রাধিকা রাজা হিসাবে আমি বেরোয়নি।আমি আমার গোপাল বিগ্রহ নিয়ে সেবিকা হিসেবেই নগর পরিক্রমায় বেরিয়েছিলাম রাজদত্ত আগত দর্শনার্থীদের মনোরঞ্জনের উদ্দেশ্যে। গোপালের কৃপায় করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে আগামী বছর শোভাযাত্রা করার অনুমতি পেলে আমি একইভাবে গোপালের সেবিকা হিসাবে গোপালের বিগ্রহ নিয়ে নগর পরিক্রমায় বের হব।’একজন তরুণীর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে শান্তিপুরের শ্যামবাজার বারোয়ারি পুজো কমিটি মঙ্গলবার রিমপা পালকে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।